[ad_1]
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেছেন, ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন সামরিক জান্তার লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীদের গুলিতে মৃত্যুবরণ করেন ডা. মিলন। কিন্তু স্বৈরাচারের পতন হলেও দীর্ঘ ৩৪ বছরেও মিলন হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত হয়নি।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের শহীদ ডা. সামছুল আলম মিলন দিবস। এ উপলক্ষে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ গেট সংলগ্ন শহীদ মিলনের সমাধিতে এবং সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার সংলগ্ন মিলনের স্মৃতি স্তম্ভ (নিঝুম)-এ শ্রদ্ধা জানিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
শ্রদ্ধাঞ্জলিকালে উপস্থিত ছিলেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিখিল দাস, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জুলফিকার আলী, কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত ফোরামের সদস্য খালেকুজ্জামান লিপন, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষক সমিতি আয়োজিত আলোচনা সভায় রতন বলেন, ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন সামরিক জান্তার লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীদের গুলিতে মৃত্যুবরণ করেন ডা. মিলন। তার আত্মদানের মাধ্যমে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন বেগবান হয় এবং ৬ ডিসেম্বর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সামরিক জান্তা স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। কিন্তু স্বৈরাচারের পতন হলেও দীর্ঘ ৩৪ বছরেও মিলন হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত হয়নি।
তিনি ডা. মিলনের স্মৃতি ফলকে শুধু স্বৈরাচারের গুলিতে নিহত ডা. মিলন না লিখে ‘সামরিক স্বৈরাচার এরশাদের লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীদের গুলিতে মৃত্যুবরণ করেন ডা. মিলন’ উল্লেখ করার কথা প্রস্তাব করেন। একইভাবে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আসাদ ও ২০২৪ এর বৈষম্যবিরোধী আন্দোনের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ সাঈদ ও শহীদ মুগ্ধের খুনিদের নাম উল্লেখ করার প্রস্তাব করেন।
[ad_2]
Source link