Homeরাজনীতিসংবিধান সংস্কারের প্রস্তাব পাঠিয়েছে নাগরিক ঐক্য

সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাব পাঠিয়েছে নাগরিক ঐক্য

[ad_1]

‘প্রধানমন্ত্রী দলীয় কোনও পদে থাকতে পারবেন না। দলীয় যেকোনও স্তরে সদস্য থাকতে পারবেন। মন্ত্রিপরিষদের কোনও সদস্য দলের কোনও স্তরে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা মহাসচিব পদে থাকতে পারবেন না।’ সংবিধান সংস্কারে এমন প্রস্তাবনা দিয়েছে মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য।

বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) ই-মেইলে সংস্কার কমিশনে পৃথকভাবে সাত দফা সংস্কার প্রস্তাবনা ও সংযোজন প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে নাগরিক ঐক্য। দলের সাংগঠনিক সম্পাদক  সাকিব আনোয়ারের সই করা  প্রস্তাব পাঠানো হয়। এদিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে দলটি।

প্রস্তাবে নাগরিক ঐক্য বলেছে, ‘গত ৫৩ বছরে সংবিধানে ১৭ বার সংশোধনী আনা হয়েছে। এসব সংশোধনীর বেশিরভাগই করা হয়েছে ক্ষমতাসীন সরকার এবং দলের স্বার্থ চরিতার্থ এবং ক্ষমতা কুক্ষিগত করার উদ্দেশ্যে। এসব উদ্দেশ্যমূলক সংশোধনী বাতিল করতে হবে।’

‘সংশোধনীর মাধ্যমে যেসব নিবর্তনমূলক আইনের বৈধতা দেওয়া হয়েছে, সেসব বাতিল করতে হবে এবং ভবিষ্যতে সাংবিধানিকভাবে জনবিরোধী আইন প্রনয়ন এবং অন্যান্য বিধান জারির পথ বন্ধ করতে হবে। মৌলিক অধিকার পরিপন্থী কোনও বিধান জারির পথ সাংবিধানিকভাবে বন্ধ করতে হবে।’ দাবি করেছে নাগরিক ঐক্য।

সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য— সংসদ, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার পৃথকীকরণ ও যৌক্তিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সংস্কার করে আস্থাভোট ও বাজেট পাস ব্যতিরেকে সব বিলে স্বাধীন মতামত প্রদান ও জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার নিশ্চিত করা। জনগণের ওপর নিবর্তনমূলক আইন প্রয়োগের সাংবিধানিক ক্ষমতা বাতিল করা।

আরও রয়েছে, বিচার বিভাগের পরিপূর্ণ কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করে গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র, সরকার ও সংবিধান প্রতিষ্ঠা করা। নির্বাহী বিভাগের আর্থিক জবাবদিহি নিশ্চিত করতে মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ রহিতকরণ। অনুচ্ছেদ ৬৬(২) (ঘ) (নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিধিনিষেধ),  নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না;  ‘নৈতিক স্খলন’ শব্দটি অস্পষ্ট এবং এর অপব্যবহার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে বিরোধী পক্ষকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার সুযোগ তৈরি হয়; এই ধারা সংশোধন করা। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা।

সংবিধান সংস্কারে সংযোজন প্রস্তাবনা দিয়েছে নাগরিক ঐক্য। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য— গণভোটের পূনঃপ্রবর্তন; রি-কল ব্যবস্থার প্রবর্তন (নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা তাদের পুরো মেয়াদজুড়ে জনগণের কাছে জবাবদিহি থাকার জন্য এবং নেতাদেরকে সততা ও কর্মদক্ষতা বজায় রাখতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ‘রি-কল ব্যবস্থার প্রবর্তন’ দরকার, কারণ তারা জানেন যে, জনগণ তাদের অপসারণ করতে পারে); লিঙ্গ সমতা ও নারীর অধিকার; ‘পার্লামেন্টারি এথিকস্ কমিটি”’ গঠন (এই কমিটি সব এথিক্যাল ইস্যুগুলো নিয়ে কাজ করবে, কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট বিষয়গুলো দেখবে); স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ ও সরকারের ওপর ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব হ্রাস করা।

এই প্রস্তাবের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী দলীয় কোনও পদে থাকতে পারবেন না। দলীয় যেকোনও স্তরে সদস্য থাকতে পারবেন। মন্ত্রিপরিষদের কোনও সদস্য দলের কোওন স্তরে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা মহাসচিব পদে থাকতে পারবেন না।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত