Homeদেশের গণমাধ্যমে‘দেশের মাটিতে বসে দিল্লির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না’

‘দেশের মাটিতে বসে দিল্লির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না’

[ad_1]

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসুদ বলেছন, বাংলাদেশের মাটিতে বসে দিল্লির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। আলিফকে হিন্দু আইনজীবী ভেবে মুসলিমরা হত্যা করেছে— এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার। তিনি বলেন, আমাদের মৃত্যুর ভয় নেই, আমরা অলরেডি শহীদ। আমাদের আরেকবার লড়তে বাধ্য করবেন না। আলিফ ভাইয়ের বাবা যে ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন, তাকে আমাদের দুর্বলতা ভাববেন না। এটা আমাদের প্রস্তুতি মাত্র।

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের নিহতের ঘটনায় বুধবার (২৭ নভেম্বর)  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত দোয়া ও সম্প্রীতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্প্রীতি সমাবেশ, ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

আবদুল হান্নান মাসুদ বলেন, ইসকন ইহুদিবাদের আদর্শকে ধারণ করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর প্রতিষ্ঠার পর ভারতে সনাতন ধর্মাবলম্বীগুরুরা তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল এবং প্রতিষ্ঠাতাকে ভারতে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। এদের উদ্দেশ্যই এদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। ইসকন মানেই সনাতনী নয়, তার প্রমাণ পুরান ঢাকার স্বামীভাগে সনাতনীদের মন্দির দখল করে নিয়েছে উসকন। সিলেটে রথ যাত্রায় হামলা করেছে, বিভিন্ন এলাকায় সনাতনীদের জমি দখল করে নিয়েছে তারা। আপনারা সব মিডিয়া ইসকনের প্রোগ্রামকে সনাতনীদের প্রোগ্রাম বলে প্রচার করেছেন। আপনারা কী মনে করেন ইসকন মানেই সনাতনী? তাহলে হাজার হাজার সনাতনী ভাই-বোনেরা যারা ইসকনের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতেন, তারা কারা?

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে বসে দিল্লির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। ইসকনকে একটি শুধু সনাতনী সংগঠন হিসেবে প্রচার করার কারণেই আজকে এই পরিস্থিতি। ইসকন তার শুরু থেকেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা বহু যুব ও কিশোরদের জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িয়েছে। এই ইসকন শুধু এই আইনজীবী আলিফকেই হত্যা করেনি, পাহাড়ে একজন নওমুসলিম ইমামকেও হত্যা করেছিল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত দোয়া ও সম্প্রীতি সমাবেশ, ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

সংগঠনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, গত পাঁচ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়ে তাদের সর্বশেষ কার্ড— সংখ্যালঘু কার্ড খেলা শুরু করেছে। তারা দেখাতে চাচ্ছে, বাংলাদেশে একটি ইসলামি বিপ্লব হয়েছে এবং এখানে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ না। আর এই ন্যারেটিভ দাঁড় করাতে সহায়তা করছে ভারতীয় মিডিয়াগুলো। ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশের এই অর্জনকে বিতর্কিত করার চেষ্টায় লিপ্ত। আর এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের উচিত ছিল— ক্ষমতায় আসার পর বিষয়গুলো সারা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার করা, দেশে গণতান্ত্রিক বিপ্লব হয়েছে। সরকার এখনও জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করেনি, বিচার শুরু করেনি। গ্রেফতার করলে আজকে চট্টগ্রামে নাসিরের লোকজন ইসকনের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করতে পারতো না। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু খুবই স্পর্শকাতর বিষয় এবং এটাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ খেলতে চায়।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য মাহিন সরকার, নুসরাত তাবাসসুম, সিনথিয়া জারিন আয়েশা, রফিকুল ইসলামসহ আরও অনেকে। সমাবেশ শেষে আইনজীবী আলিফের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও সম্প্রীতি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত