Homeজাতীয়সরকারের বিরোধিতা করায় আমাকে কাজ দেয় না : শ্রীলেখা

সরকারের বিরোধিতা করায় আমাকে কাজ দেয় না : শ্রীলেখা

[ad_1]

কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় যারা প্রতিবাদ করেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। সে সময় প্রতিবাদের কারণে মমতা সরকারের সঙ্গে তাদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে সেটা স্পষ্ট। এ কারণে কাজের জায়গায় বিপত্তিতে পড়েছেন অনেক তারকাই। সে তালিকায় রয়েছেন শ্রীলেখাও।

এবার বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, প্রায়ই সিনেমা হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। এমনকি রিয়েলিটি শো থেকেও বাদ পড়ে যাচ্ছি। বিজ্ঞাপনী সিনেমার জন্য নির্বাচিত হয়েও শেষে আর কাজ হলো না। অভিযোগের তালিকা অনেক লম্বা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু জানিয়েছি। অনেক কিছুই আবার জানাইনি। কারণ জানিয়ে লাভ নেই, তাই। তবুও সরব আমি।

শ্রীলেখা বলেন, আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে অনেকের অনেক বক্তব্য। প্রায়ই কেউ কিছু না কিছু বলছেন। আমি একটু বেশিই জোরালো প্রতিবাদ করেছি। অবশেষে তার ফলাফল পেলাম। দুইটা বিজ্ঞাপনের কাজ হাতছাড়া হয়ে গেল। ক্লায়েন্ট যোগাযোগ করেছিলেন এজেন্সির সঙ্গে। এজেন্সির প্রতিনিধি আমাকে পছন্দ করেন। চেয়েছিলেন, কাজটা আমিই করি। কিন্তু তারও তো কোথাও বাধা রয়েছে।

আমাকে বললেন, দিদি, আরজি কর-কাণ্ডে তোমার বক্তব্য সরকারের বিরুদ্ধে গেছে। তুমি তাদের বিরোধিতা করায় তোমাকে দিয়ে কাজ না করানোর নির্দেশ এসেছে। দুটো কাজ থেকেই ভালো অঙ্কের পারিশ্রমিক পেতাম আমি।

আক্ষেপের সুরে অভিনেত্রী বলেন, আমি আর এ ধরনের ঘটনায় বিচলিত হই না। কখনোই মধু মাখিয়ে কথা বলতে পারি না। বাকিরা যতটা না মনের গভীর থেকে মৃত চিকিৎসকের জন্য ন্যায়বিচার চেয়েছেন, আমার চাওয়া আরও গভীরে ছিল।

তিনি আরও বলেন, আমার বক্তব্য ছিল পুলিশ, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। বাংলায় এই দুই পদেই মুখ্যমন্ত্রী আসীন। তাহলে কাকে বলব? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই মুখ খুলতে হবে। সেটাই করেছি আমি।

ভয় না পাওয়ার আরও একটা কারণ, আমার মাথার উপরে কোনো দায় নেই। ঋণের বোঝা নেই। প্রচুর চাহিদা নেই। দামি গাড়ি-বাড়ি, দামি পোশাকের বিলাসিতা নেই। ফলে, প্রচুর অর্থের প্রয়োজনও নেই।

শ্রীলেখার ভাষ্য, যতটা সম্ভব সৎ থেকে কাজ করা যায় ততটাই সৎ আমি। একমাত্র দেওয়ালে পিঠ ঠেকে না গেলে মিথ্যা কথা বলি না। বললেও এমন মিথ্যে বলি না যা অপরের ক্ষতি করবে। বরাবর নিজের কাজ নিজেই জোগাড় করেছি। কোনো দিন তথাকথিত ‘সুগার ড্যাডি’ছিল না। জীবনে ভালোবাসার মানুষজনেরও বড়ই অভাব। সব মিলিয়ে নিজেই নিজের হর্তা-কর্তা-বিধাতা। ফলে, যাই ঘটুক ঠিক চালিয়ে নেব।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৯ আগস্ট গভীর রাতে আরজি কর হাসপাতালের নারী চিকিৎসক দায়িত্বরত অবস্থায় ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হন। এ ঘটনা প্রকাশ্যে এলে রাজ্যব্যাপী শুরু হয় প্রতিবাদের ঝড়, যা এখনও চলছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রাস্তায় নেমে জোরালো প্রতিবাদ করেন শ্রীলেখা। মূলত সে কারণেই সরকারের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন এই অভিনেত্রী।


 



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত