[ad_1]
মিয়ানমারে চলমান সংঘাতে সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। মিয়ানমার থেকে আসছে মুহুর্মুহু গোলার বিকট শব্দ। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাত ৯টায় সীমান্তে যুদ্ধবিমান থেকে চালানো হামলায় টেকনাফের জাদিমুড়া থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত কেঁপে উঠেছে। এতে ভয়ে সীমান্তের কাছাকাছি মানুষজন ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছেন। এর আগে দিনের বেলায় সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় ওপারে আগুনের ধোঁয়া দেখা গেছে।
কেফায়েত উল্লাহ সীমান্তের কাছাকাছি জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘রাতে হঠাৎ সীমান্তে পর পর দুটি গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। এতে ঘর থেকে লোকজন বেরিয়ে পড়ে। আমাদের মতো অনেকে ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় চলে আসে। এ ছাড়া সীমান্তে যুদ্ধবিমান দেখা গেছে।’
সীমান্ত খোঁজ রাখেন এমন এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘অনেক দিন পর সীমান্তের খুব বেশি গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাখাইনের পেরাংপুল ও আশিক্ক্যা পাড়া জান্তা সরকার যুদ্ধবিমান নিয়ে হামলা করছে। মূলত আরকান আর্মির দখলে থাকা চৌকি উদ্ধারে দেশটির সরকারি বাহিনী নতুন করে হামলা চালাচ্ছে। ফলে নতুন করে সীমান্তে অনুপ্রবেশের শঙ্কাও বেড়েছে।’
এদিকে, রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের নেতৃত্বদানকারী সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) আবেদন করেছেন প্রসিকিউটররা। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যে একটি রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠন পুলিশ পোস্টে হামলার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালিয়েছিল। সেনারা সে সময় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে উৎখাতে তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয় এবং হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে। সহিংস সে অভিযানের ফলে প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলার ইউএনওর দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নিজামী বলেন, ‘মিয়ানমারের গোলার বিকট শব্দে আমার বাসভবনও কেঁপে উঠেছে। সীমান্তের লোকজনের খোঁজ রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি সীমান্তের আমাদের বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা সর্তক অবস্থানে রয়েছেন।’
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী টেকনাফের বাসিন্দা মোহাম্মদ জসিম বলেন, ‘এ ধরনের গোলার বিকট শব্দ আগে পাওয়া যায়নি। যার ফলে লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সীমান্তে আগুনের কুণ্ডলী, যুদ্ধবিমানও দেখা গেছে। আমরা খুব ভয়ের মধ্য আছি।’
সীমান্তে বিজিবি সর্তক অবস্থানে আছে উল্লেখ করে বিজিবি টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ ইশতিয়াক মুর্শেদ বলেন, ‘অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্তে বিজিবি তৎপর রয়েছে।’
[ad_2]
Source link