[ad_1]
বিশ্বময় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলাম মানবভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সে সমগ্র মানবজাতিকে একই পরিবারভুক্ত মনে করে। ইসলামের কথা হচ্ছে, সব মানুষই এক আল্লাহ তাআলার সৃষ্টি এবং তিনি মহাবিশ্বের স্রষ্টা ও প্রতিপালক। ইসলামের শিক্ষা হলো সব মানুষের উৎপত্তি বাবা আদম (আ.) ও মা হাওয়া (অা.) থেকে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা বলো, আমরা আল্লাহতে ইমান রাখি এবং যা আমাদের প্রতি, ইব্রাহিম (আ.), ইসমাইল (আ.), ইসহাক (আ.), ইয়াকুব (আ.) ও তাঁর বংশধরগণের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং যা তাঁদের প্রতিপালকের নিকট থেকে মুসা (আ.), ঈসা (আ.) ও অন্যান্য নবীকে দেওয়া হয়েছে। আমরা তাঁদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করি না এবং আমরা তাঁরই নিকট আত্মসমর্পণকারী।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৩৬)
‘মানুষ ছিল একই উম্মত, পরে তারা মতভেদ সৃষ্টি করে। তোমার প্রতিপালকের পূর্বঘোষণা না থাকলে তারা যে বিষয়ে মতভেদ ঘটায়, তার মীমাংসা তো হয়েই যেত।’ (সুরা-১০ ইউনুস, আয়াত: ১৯)
ইসলাম সবার সঙ্গে ন্যায়পরায়ণতা, সুবিচার ও সুন্দর আচরণ করার শিক্ষা দেয়। ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি, শিল্প, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যনীতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে মানবভ্রাতৃত্বের নীতিতে জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার মধ্যে সহযোগিতামূলক সুসম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব হলে যুদ্ধের আশঙ্কা কমে যায়। মানবভ্রাতৃত্বের পাশাপাশি ইসলাম বিশ্বাসের ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধের পরিবর্তে শান্তি স্থাপন করতে চায়।
[ad_2]
Source link