[ad_1]
পৃথিবীর সব জনবহুল শহরেই শিশুদের স্কুলে আনা–নেওয়ার জন্য স্কুলবাস থাকে। আর যেখানে স্কুলবাস, সেখানে গণপরিবহনে তাদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়। এসব ক্ষেত্রে যেসব অভিভাবকের ব্যক্তিগত গাড়ি আছে, তা ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হয় যানজট বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায়।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বয়োজ্যেষ্ঠ একজন নগরবাসী বলেন, নাতিকে নিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করতে দিনে রিকশাভাড়া লাগে ২০০ টাকা, মাসে ২২ দিনে ৪ হাজার ৪০০ টাকা। রিকশায় যেতেও ভয় লাগে; কিন্তু কিছু করার নেই। নাতির ক্লাসের পুরো সময় তাঁকে স্কুলের সামনে বসে থাকতে হয়। স্কুলে দিয়ে বাসায় ফিরে আবার এসে নাতিকে নিতে আরও ২০০ টাকা খরচ হবে। দিনে খরচ দাঁড়াবে ৪০০ টাকা। স্কুলের বেতন মাসে ২ হাজার ২০০ টাকা। আর যাতায়াত খরচ এর দ্বিগুণ। স্কুলবাস থাকলে তাঁর পরিবারের খরচ কমত, ভোগান্তিও কমত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্কুলভ্যানের মতো অনুমোদনহীন যানবাহন, রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে ব্যক্তিগত গাড়ি বা প্রাইভেট কার রাজধানীর যানজট বাড়াচ্ছে। সকালে ক্লাস শুরুর আগে এবং দুপুর ও বিকেলে ছুটির সময় স্কুলকেন্দ্রিক সড়কে যানজটে ব্যাপক ভোগান্তি তৈরি করে এই ব্যক্তিগত গাড়ি।
এসব বাহন কেবল ঝুঁকিপূর্ণ নয়, অনেক সময় দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাবে, দেশে গত সাড়ে পাঁচ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৫ হাজার ৩৮৪ জন নিহত হয়েছেন, যার ১৩ শতাংশই শিক্ষার্থী। সংখ্যায় তারা ৪ হাজার ৬২৮ জন। এর মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসার পথে যানবাহনের চাপায় বা ধাক্কায় আর ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয় বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রী হিসেবে।
[ad_2]
Source link