[ad_1]
তাঁরা বলেছেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে মাজার–খানকায় হামলা হলো, প্রোপাগান্ডা বাদ দিলেও হিন্দুদের বাড়িঘর–স্থাপনায় হামলার কিছু ঘটনাটা ঘটেছে, শ্রমিকের ওপর গুলি চলল, অন্য জাতিগেষ্ঠীর মানুষের ওপর হামলা হলো, রিকশাচালকদের ‘ভিলেন’ বানানোর চেষ্টা চলল, নারীবিদ্বেষী প্রোপাগান্ডা চলল, বাজারে সিন্ডিকেটবাজি চলল; কিন্তু এই সবকিছুতেই সরকারের ভূমিকা আশ্চর্যজনকভাবে প্রায় নিষ্ক্রিয় এবং অকার্যকর থাকল।’
তাদের মতে, যেকোনো গণতান্ত্রিক দাবির আন্দোলনকেই ফ্যাসিবাদের দোসরদের কাজ বলে ট্যাগ দেওয়ার চেষ্টা, গণ-অভ্যুত্থানকারী শক্তিগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টিকারী বক্তব্য প্রদান বা দায়িত্বজ্ঞানহীন মতামত প্রকাশ, সর্বোপরি পরিস্থিতি সামাল দিতে চরম ব্যর্থতা—এ সবকিছুই নানা রকম বিভাজনকে উসকে দিয়ে পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তুলছে।’
বিএনপি, জামায়াত, গণতন্ত্র মঞ্চ, বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ অনেক দলই জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার কথা বলেছে। কিন্তু সেই ঐক্য কার বিরুদ্ধে, কাদের ঐক্য, সে কথা স্পষ্ট করে বলছেন না।
যেকোনো ঐক্য গড়ে তোলার জন্য ন্যূনতম কিছু শর্ত পালন করতে হয়। ঐক্যপ্রয়াসীদের বলতে হবে, তাঁরা দেশটাকে কোন দিকে নিয়ে যেতে চান? তাঁরা কি বাংলাদেশকে একটি সত্যিকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চান? তাঁরা কি সব ধরনের ধর্মীয় ও জাতিগত বৈষম্যের অবসান চান? তাঁরা কি গরিষ্ঠসংখ্যক মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি চান? তাঁরা কি লাখ লাখ তরুণকে বেকারত্বের দুঃসহ যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করতে টেকসই কোনো পরিকল্পনা নেবেন? তাঁরা কি দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করা ৪ কোটি ১০ লাখ মানুষকে ওপরে নিয়ে আসার জন্য আশু কর্মসূচি নেবেন?
[ad_2]
Source link