Homeদেশের গণমাধ্যমেঝাল শরীরের জন্য ভালো নাকি খারাপ?

ঝাল শরীরের জন্য ভালো নাকি খারাপ?

[ad_1]

ঝাল খেতে ভালোবাসেন না এমন বাঙালির সংখ্যা সামান্যই। সবাই ফুচকা, চটপটি কিনবা মুড়ি বা যে কোনো খাবারে ঝাল ও স্বাদ দিয়ে খেতে পছন্দ করি। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না ঝাল খাবারে রয়েছে অনেক উপকারিতা। সুস্থ থাকতে ঝাল বিশেষ ভূমিকা রাখে। এক গবেষণায় জানা গেছে, বিশেষ করে ক্যাপসাইসিন সমৃদ্ধ খাবার আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য সুবিধা দিতে পারে। মরিচে প্রচুর পরিমাণে ক্যাপসাইসিন থাকে যা হজমে সহায়তা করে এবং পাকস্থলীতে পিত্তরসের ক্ষরণ বাড়ায়, ফলে খাদ্য হজমের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, মরিচ বা ঝালসমৃদ্ধ খাবার খেলে ক্যানসার, ইস্কেমিক হৃদরোগ এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগসহ মৃত্যুর ঝুঁকি কম হওয়ার সম্পর্কের প্রমাণ মিলেছে। যারা সপ্তাহে ছয় থেকে সাত বার ঝাল খাবার গ্রহণ করেন তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি ১৪ শতাংশ কম ছিল যারা খুব কম খান তাদের তুলনায়।

অন্য আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, অংশগ্রহণকারীদের যারা গরম লাল মরিচ খেয়েছিল তাদের মোট মৃত্যুর হার ২২ শতাংশ ছিল, যারা একেবারেই খায়নি তাদের ক্ষেত্রে ৩৪ শতাংশ এর তুলনায়। তবে গবেষকরা সতর্ক করেছেন যে, মরিচ খাওয়ার পরিমাণ, প্রকার এবং ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ে এখনও আরও গবেষণা প্রয়োজন। শুধু ঝাল খাবারের ব্যবহার নয়, বরং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাবার ও নিয়মিত শরীরচর্চা আপনার সুস্থতায় ভূমিকা রাখতে পারে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক ঝাল খাবারে কী উপকারিতা রয়েছে-

কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমায়

ঝাল খেলে ক্যাপসাইসিন কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমে। এটি রক্তের কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমায়। প্লেটলেট একত্রীকরণ প্রতিরোধ করে। শরীরের ফাইব্রিন দ্রবীভূত করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যা রক্তের জমাট বাঁধার অবিচ্ছেদ্য উপাদান। একই সঙ্গে, কাঁচামরিচ সমৃদ্ধ খাবার খেলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং পালমোনারি এমবোলিজমের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে থাকে।

ক্যানসার প্রতিরোধ করে

ক্যাপসাইসিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করতে কাজ করে, বিশেষ করে প্রোস্টেট ক্যানসার, ক্যানসার কোষে কোষের মৃত্যুকে ট্রিগার করে। প্রাথমিক গবেষণা ইঙ্গিত করে যে এটি একাধিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্যানসার কোষের বিস্তারকে বাধা দিতে পারে।

বিপাকীয় সুবিধা

ঝাল খাবার বিপাক এবং ওজন ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ক্যাপসাইসিন ক্ষুধা হ্রাস করে এবং ওজন কমাতে কাজ করে। এটি ইনসুলিন প্রতিরোধের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভাব

ক্যাপসাইসিন প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা অনেক দীর্ঘস্থায়ী রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকেও রক্ষা করে, ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ এবং শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতার মতো সমস্যার ঝুঁকি হ্রাস করে।

ব্যথা উপশম করে

ক্যাপসাইসিন শরীরের প্রাকৃতিক ব্যথানাশক এন্ডোরফিন নিঃসরণকে ট্রিগার করে, যা দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে এবং এমনকি সুখের অনুভূতিও উন্নীত করতে পারে।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত