Homeজাতীয়পুলিশের সবকিছু ভেঙে পড়েছে: সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা

পুলিশের সবকিছু ভেঙে পড়েছে: সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা

[ad_1]

পুলিশের সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেছেন, ‘পুলিশের সবকিছু ভেঙে পড়েছে। পুলিশে সামরিকায়নের ফলে কী ক্ষতি হয়েছে—সেটা সবাই দেখছেন। এখন পুলিশে সামরিক ভাবনা ঢুকে পড়েছে। এ জন্য পুলিশে সংস্কার জরুরি।’

গতকাল শনিবার ‘৫৩ বছরেও পুলিশ কেন জনবান্ধব হতে পারেনি: পুলিশ সংস্কার, কেন? কোন পথে?’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে স্বেচ্ছাসেবী মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন’ এ আলোচনার আয়োজন করে।

ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নুরুল হুদা বলেন, রাজনৈতিক দৃষ্টি না থাকলে কোনো সংস্কারই কার্যকর হবে না। তা ছাড়া জনগণকে সম্পৃক্ত করে পুলিশিং করলে বড়সংখ্যক পুলিশের প্রয়োজন হবে না।

বাংলাদেশের মতো বিভাজিত সমাজে পুলিশিং কঠিন বিষয়—উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুলিশ জনগণের সেবক থেকে গৃহকর্মী হয়ে গেছে। অন্য বাহিনী থেকে পুলিশের কোনো ইউনিটে কাউকে আনলে তাঁকে অন্তত ছয় মাস পুলিশিংয়ের প্রশিক্ষণ দিতে হবে, এমনটা মনে করেন তিনি।

পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য গোলাম রসুল বলেন, বিসিএসের বাইরে পুলিশের আলাদা কমিশন করা যায় কি না, তা দেখতে হবে। প্রযুক্তি–নির্ভর ফরেনসিক কার্যক্রম চালু করতে হবে। পুলিশের বিষয়ে তদন্ত করতে আলাদা সাব–কমিশন লাগবে। মূল কমিশন এটি তত্ত্বাবধান করবে।

সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার ইকতেদার আহমেদ বলেন, অতীতে অনেক কমিশন হলেও সেগুলো আলোর মুখ দেখেনি। তিনটি আইনে পুলিশের ব্যাখ্যা ভিন্ন ভিন্ন। পুলিশ ও আদালতের পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত বিষয়গুলোও সংস্কারের মধ্যে আনতে হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, আসলে পুলিশ একা নয়, সবাই ব্যর্থ হয়েছে। নষ্ট লোকদের খুঁজে খুঁজে গত ১৬ বছর পদায়ন করা হতো।

সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মাজহারুল হক বলেন, গত ১৬ বছর পুলিশ এমনভাবে চলেছে, যা সিনেমাতেও নেই।

সাবেক ডিআইজি মেসবাহুন নবী বলেন, শুধু পুলিশ নয়, বিচারব্যবস্থাও বদলাতে হবে।

সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি ইয়াসমিন গফুর বলেন, পুলিশের কর্মঘণ্টা ঠিক করা হয়নি। আইনে পুলিশ বাহিনী বলা হয়েছে। পুলিশ সার্ভিস বলা হয়নি। কমান্ডার কেমন তার ওপরও নির্ভর করে কেমন পুলিশ হবে।

হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মনির হোসাইন কাসেমী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেত্রী জাকিয়া শিশির ও ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. পারভেজ বক্তব্য দেন।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত