Homeদেশের গণমাধ্যমেরাশিয়ার আটককেন্দ্রে যৌন নির্যাতনের শিকার হয় ইউক্রেনের পুরুষরা: জাতিসংঘ

রাশিয়ার আটককেন্দ্রে যৌন নির্যাতনের শিকার হয় ইউক্রেনের পুরুষরা: জাতিসংঘ

[ad_1]

রাশিয়ার আটককেন্দ্রে ইউক্রেনীয় পুরুষরা যৌন নির্যাতনের শিকার হয় বলে দাবি করেছে জাতিসংঘের একটি সংস্থা। তবে তাদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতার ঘটনাগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে রিপোর্ট করা হয় না বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) জানিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ আক্রমণ শুরুর পর থেকে যৌন সহিংসতার শিকার হওয়া ১১৪ জন পুরুষকে সনাক্ত করা হয়েছে। তবে ইউক্রেনের সরকারি পরিসংখ্যান সম্ভবত বাস্তব পরিস্থিতির তুলনায় অনেক কম।

ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় এই ঘটনাগুলোর তথ্য রেকর্ড করেছে। পাশাপাশি ২০২ জন নারী নির্যাতিতার ঘটনাও নথিভুক্ত করেছে।

ইউএনএফপিএ জানিয়েছে, আরও ১০ থেকে ২০টি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়নি। এই ঘটনাগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর প্রমাণ হিসেবে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

২০২২ সালের মার্চে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ ইউক্রেন বিষয়ে স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠন করে। সেপ্টেম্বরে ওই কমিশন জানিয়েছে, আটককেন্দ্রগুলোতে যৌন সহিংসতাকে বিশেষ করে পুরুষদের লক্ষ্য করে একটি পদ্ধতিগত নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

আটককেন্দ্রে পুরুষদের যৌন নির্যাতন

ইউএনএফপিএ জানিয়েছে, এই অপরাধের বেশিরভাগ ভুক্তভোগী নারী ও মেয়ে হলেও, পুরুষ, ছেলে এবং বিভিন্ন লিঙ্গ পরিচয়ের ব্যক্তিরাও এই ধরনের সহিংসতার শিকার।

ইউক্রেনে ইউএনএফপিএ’র প্রতিনিধি মাস্সিমো ডায়ানা আল জাজিরাকে বলেন, সংঘাত-সম্পর্কিত যৌন সহিংসতার শিকাররা সহায়তা চাইতে গেলে উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন। এর সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে কলঙ্ক, লজ্জা এবং ভয়ের গভীর অনুভূতি সম্পর্কিত সমস্যাগুলো যুক্ত রয়েছে।

ডায়ানা বলেন, পুরুষ ভুক্তভোগীদের জন্য এই প্রতিবন্ধকতাগুলো আরও জটিল হয়। কারণ তারা প্রায়ই ভুল বোঝার ভয়ে থাকে। এমনকি যৌন সংখ্যালঘুদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আশঙ্কাও তাদের মধ্যে থাকে।

মানসিক স্বাস্থ্য ও গোপনীয়তার চ্যালেঞ্জ

মনোবিজ্ঞানীরা বলেছেন, নির্যাতিতদের সঙ্গে আস্থা গড়ে তোলা এবং তাদের পরিচয় গোপন রাখা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ডিজিটাল সরঞ্জাম ব্যবহার করে যৌন নির্যাতনের ফুটেজ এবং ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ইউএনএফপিএ জানিয়েছে, রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেনীয় পুরুষ বন্দিদের ধর্ষণের ভিডিও তাদের পরিবারের কাছে পাঠিয়েছে শুধু তাদের অপমান করার জন্য।

ভয়াবহ নির্যাতনের তথ্য

জুলাই মাসে নোবেল পুরস্কারজয়ী মানবাধিকার সংস্থা কিয়েভ-ভিত্তিক সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজের প্রধান ওলেক্সান্দ্রা মাতভিচুক আল জাজিরাকে জানান, রুশ বন্দিত্ব থেকে বেঁচে ফেরা শত শত ভুক্তভোগীর সাক্ষাৎকারে তারা দেখেছেন যে অনেকেই মারধর, ধর্ষণ এবং বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার মতো নির্যাতনের শিকার হয়েছে।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত