Homeরাজনীতিইতিহাসের নতুন অধ্যায় শুরু করার আহ্বান তারেক রহমানের

ইতিহাসের নতুন অধ্যায় শুরু করার আহ্বান তারেক রহমানের

[ad_1]

একুশে আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে খালাস পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তারেক রহমান। রবিবার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় ৭টা ২৫ মিনিটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তার স্যোশাল হ্যান্ডেল এক্স (সাবেক টুইটার) ও ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে এই প্রতিক্রিয়া জানান। সেখানে তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অবসান ঘটিয়ে ইতিহাসের নতুন অধ্যায় শুরু করার আহ্বান জানান। 

ইংরেজিতে দেওয়া স্ট্যাটাসের বাংলা ভাষান্তর হচ্ছে, ‘সত্যের সৌন্দর্য হলো এই যে, এটি প্রোপাগান্ডা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অবশেষে জয়ী হয়, যা আমাদের এই বিশ্বাস জোগায় যে ন্যায় ও সুবিচার শেষ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত হয়।’

‘আসুন আমরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অবসান ঘটিয়ে ইতিহাসের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করি, যেখানে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে কারও জীবন বা পরিবার ধ্বংস হবে না।’

স্ট্যাটাসে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, ‘আমরা অঙ্গীকার করছি যে, বহুমতের, বিশ্বাসের ও মতাদর্শের বৈচিত্র্যে বিকশিত গণতন্ত্রের চেতনা ধারণ করবো, যা বাংলাদেশের মানুষকে নির্বাচনি অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে ক্ষমতায়িত করবে।’

‘এই যাত্রায় আমরা আইনের শাসন, মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য সচেষ্ট হব, যা প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতা সুরক্ষিত করবে এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহনশীল ও নিয়মতান্ত্রিক সমাজ গড়ে তুলবে’, মত প্রকাশ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

তারেক রহমানের স্ট্যাটাসের পর বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কোনও-কোনও তরুণ নেতা তারেক রহমানের স্ট্যাটাসে নিচে কমেন্ট করেছেন, ‘আমরা আপনার দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছি।’

প্রসঙ্গত, এর আগে আজ বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। 

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত মামলাটিতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন। একই সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয় অপর ১১ আসামিকে। পরে ওই বছরের ২৭ নভেম্বর মামলার বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছে। পাশাপাশি কারাবন্দি আসামিরা আপিল করেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এ মামলার আপিল শুনানি বিচারপতি সহিদুল করিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুরু হয়। এর মধ্যে ওই বেঞ্চ পুর্নগঠন হয়। এ কারণে নতুন বেঞ্চে আবার শুনানি শুরু হয়।  



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত