[ad_1]
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো আইনগতভাবে মোকাবেলা করার পর হাইকোর্ট বেকসুর খালাস পেয়েছেন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্কেচ: টিবিএস
“>
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্কেচ: টিবিএস
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় হাইকোর্টে তারেক রহমানকে খালাস দেওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ (১ ডিসেম্বর) বলেছেন, এই রায়ে প্রমাণিত হয়েছে তাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, “তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো আইনিভাবে মোকাবেলা করার পর হাইকোর্ট তাকে খালাস দিয়েছেন।”
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পর এখন লন্ডনে অবস্থানরত ফখরুল এ বিবৃতি দেন।
তিনি বলেন, রায়ে দেখা গেছে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার তারেক রহমানকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অভিযুক্ত করেছে।
ফখরুল বলেন, এই ঐতিহাসিক রায়ের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
তিনি এ রায়ে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তারেকের সুস্থতা কামনায় সারাদেশের দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দুই মামলায় তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের খালাস দেওয়ায় ন্যায়বিচার হয়েছে।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ শাসনামলে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল কাহার আখন্দকে পুনঃনিযুক্ত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) করা হলে তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায় যে সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য ছিল।
আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাদের মামলায় জোরপূর্বক দোষী সাব্যস্ত করেছে বলেও অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, “আমরা সর্বোচ্চ আদালত থেকে সঠিক রায় পেয়েছি। যে ন্যায়বিচারের জন্য আমরা দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামে লিপ্ত ছিলাম তার কিছু কিছু রায়ে প্রতিফলিত হয়েছে,” বলেন তিনি।
এর আগে, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া রায় বাতিল করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মামলার চার্জশিটও অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে।
[ad_2]
Source link