[ad_1]
সাফা কবির : সব ক্ষেত্রে আমি মা-বাবার ভালো একটা সংমিশ্রণ। আমার মা-বাবা দুজন তো দুই রকম। বাবা যেমন অনেক জোরে গান শুনতে পছন্দ করেন, মা আবার আস্তে গান শুনতে পছন্দ করেন। বাবা অনেক হাসিঠাট্টা করতে পছন্দ করেন, আম্মু চুপচাপ। আমি আম্মুর মতো চুপচাপও, আবার বাবার মতো মজা করতেও পছন্দ করি। আমি তাঁদের একমাত্র মেয়ে। আমাদের পরিবারে আবার মা অলওয়েজ রাইট। মায়ের কথার ওপরে কোনো কথা হবে না। বাবার মতে, ‘আমার ওয়াইফ রাইট।’ আমার মতে, ‘আম্মু রাইট।’
প্রথম আলো :
কাজের ক্ষেত্রে আপনার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা কে?
সাফা কবির : আমার মনে হয় মা-বাবা দুজনই। কাজের ক্ষেত্রে দুজনই সমানভাবে সহযোগিতা করেছেন। আম্মু সব সময় বলতেন, পড়াশোনার পাশাপাশি এটা করো। বাবা বলতেন, তোমার যা ভালো লাগে তা–ই করো। দুই দিক থেকে স্বাধীনতা পেয়েছি বলেই কাজ করতে পারছি। একমাত্র সন্তান, মা-বাবার তো অনেক ধরনের ইচ্ছা থাকে। এই যেমন আমার মেয়ে চিকিৎসক হবে, প্রকৌশলী হবে—এমনটা কখনো চাপিয়ে দেননি। সব সময় বলেছেন, তুমি যেটা করতে চাও, সেটাই মন দিয়ে করো। যখন তাঁরা দেখেছেন, আমি এই অঙ্গনে কাজ করতে চাই, অনেক বেশি প্যাশনেট, তাঁরা সুযোগ করে দিয়েছেন।
প্রথম আলো :
ইচ্ছা কীভাবে তৈরি হয়েছে?
সাফা কবির : বিষয়টি এমন নয় যে ছোটবেলা থেকে আমি অভিনয়শিল্পী হতে চাইতাম। টিভিতে কাজ করতে চাইতাম। তবে একটা কথা মনে পড়ে, আমরা তখন নাখালপাড়ায় থাকতাম। কলেজ পর্যন্ত ওই এলাকায় কেটেছে। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বিলবোর্ডে দেখে মনে হতো, আমার যদি বিলবোর্ডে একটা সুন্দর ছবি থাকত। আমার চৌদ্দ পুরুষের কেউ শিল্প-সংস্কৃতি অঙ্গনে কাজ করেননি। ছোটবেলায় আমার কাজিনরা নাচ-গান শিখত। আমি ওদের সঙ্গে নাচ, ছবি আঁকা শিখতাম। বড় হওয়ার পর ওরা কেউ চালিয়ে যায়নি আমি ছাড়া। এই অঙ্গন সম্পর্কে কোনো ধারণাও আমার ছিল না।
[ad_2]
Source link