[ad_1]
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ৩য় দিনের খেলা,
প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫১ ওভারে ১০৭/৫ (ডা সিলভা ০*, কার্টি ৩৩*, গ্রিভস ২, আথানেজ ২, হজ ৩, ব্র্যাথওয়েট ৩৯, লুইস ১২)
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৭১.৫ ওভারে ১৬৪/১০ (নাহিদ ০*, হাসান ৫, মিরাজ ৩৬, তাসকিন ৮, তাইজুল ১৬, সাদমান ৬৪, জাকের ১, লিটন ১, দিপু ২২, জয় ৩, মুমিনুল ০)
দুই পেসার নাহিদ রানা ও তাসকিন আহমেদের পর স্পিনার তাইজুল ইসলামও সাফল্য পেলেন। অ্যান্টিগা টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান জাস্টিন গ্রিভসকে মাত্র ২ রানে বোল্ড করেছেন তিনি।
তাসকিন পেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের চতুর্থ উইকেট
তাসকিন আহমেদ ওয়েস্ট ইন্ডিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নিলেন। দলীয় ১০০ রানে আলিক আথানেজকে বোল্ড করলেন তিনি। বাংলাদেশের পেসারের বলে মাত্র ২ রানে আউট উইন্ডিজ ব্যাটার।
তাসকিনের মিসের পর লিটনের দুর্দান্ত ক্যাচ হলেন হজ
৪৫তম ওভারের চতুর্থ বলেই কাভেম হজের প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটার কথা। নাহিদ রানার বল টপ এজ হয়ে ফাইন লেগে তাসকিন আহমেদের হাত ফসকায়। লিটন দাসও ক্যাচ নিতে সেদিকে ছুটেছিলেন। কিন্তু তাসকিনের হাতেই দায়িত্ব ছেড়ে দেন। অবশ্য দুই বল পরই হজকে থামতে হয়। বল আউটসাইড এজ হয়ে পেছনে ছোটে। লিটন ডানদিকে ঝাঁপিয়ে বাজপাখির মতো ছোঁ মেরে তা ধরে ফেলেন। ৯৪ রানে ৩ উইকেট হারালো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১২ বল খেলে ৩ রান করেন হজ।
৩৯ রানে ব্র্যাথওয়েটকে ফেরালেন নাহিদ
কিসি কার্টির সঙ্গে ৬০ রান যোগ করে থামলেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। নাহিদ রানার দারুণ লেংথের বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক গালিতে বদলি ফিল্ডার জাকির হাসানের ক্যাচ হন। ১২৯ বলে ৩ চারে ৩৯ রান করেন তিনি। ৮৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারালো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্রুত আটকে দেওয়ার লক্ষ্যে মাঠে বাংলাদেশ
৯৪ রানে পিছিয়ে থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সোমবার তৃতীয় দিন ক্রিজে নেমেছে। ১ উইকেটে তাদের রান ৭০। বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্স বলেছেন, ‘আমরা গতকাল ভালো জায়গায় বল করতে পারিনি। আজ আমরা ভালো জায়গায় বল করা নিশ্চিত করতে চাই।’ মূলত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে যত দ্রুত আটকে দেওয়া যায় সেটাই বাংলাদেশের পরিকল্পনা।
দিন শেষে ৯৪ রানে পিছিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
জ্যামাইকা টেস্টে বাংলাদেশের ওপর ছড়ি ঘুরাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যদিও দিন শেষে তারা ৯৪ রানে পিছিয়ে। বাংলাদেশের করা ১৬৪ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে তাদের স্কোর ১ উইকেটে ৭০ রান। ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ৩৩ ও কিসি কার্টি ১৯ রানে অপরাজিত আছেন। দুজনের জুটি ৪৫ রানের, বল খেলেছে ১৪৪টি।
দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ খেলা শুরু করেছিল ২ উইকেটে ৬৯ রানে। সাদমান ইসলাম ও শাহাদাত হোসেন দিপু দিন শুরু করেন। শামার জোসেফের আগুন বোলিংয়ে ১৫ রানের ব্যবধানে চার উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সাদমান ৬৪ রান করেছিলেন। তার ইনিংসই ছিল দিন শেষে সর্বোচ্চ।
৯৮ রানে বাংলাদেশের ছয় উইকেট পড়ার পর মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের প্রতিরোধ টেনেটুনে লাঞ্চের পর আধঘণ্টা পার করে। এই জুটি ভেঙে ব্রেকথ্রু আনেন আলজারি জোসেফ। তারপর সিলস বাকি তিন উইকেট তুলে নেন। শুরু থেকে মিতব্যয়ী বোলিংয়ে বাংলাদেশকে চাপে রাখা এই পেসার বোলিং ফিগার চোখে পড়ার মতো। ১৫.৫ ওভার বোলিং করে মাত্র ৫ রান দেন তিনি, মেডেন ১০ ওভার! উইকেটও নিয়েছেন সর্বোচ্চ চারটি। বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ১৬৪ রানে।
জবাব দিতে নেমে চা বিরতির আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০ ওভারে করে ১৬ রান। শেষ সেশনের শুরুতে নাহিদ রানা ফেরান মিকাইল লুইসকে। তারপর আর কোনও উইকেট হারায়নি উইন্ডিজ। যদিও শেষ দিকে মিরাজের এলবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার আউট দিয়েছিলেন ব্র্যাথওয়েটকে। ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক রিভিউ নিয়ে টিকে যান।
[ad_2]
Source link