[ad_1]
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
“>
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে সম্মান করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল প্রধান বক্তব্যে বলেন, “এটা কেমন বন্ধুত্ব? এটা কেমন প্রতিবেশী আচরণ? বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছে এমন মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।” গতকাল (৩ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনের রয়্যাল রিজেন্সি হলে আয়োজিত এক সম্মেলনে অতিথি।
যুক্তরাজ্যে সফররত বিএনপি মহাসচিব ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদ এবং কমিশনের সামনে সাম্প্রতিক বিক্ষোভের প্রতিবাদ জানিয়েছেন, রিপোর্ট প্রথম আলো।
মির্জা ফখরুল বলেন,[Former prime minister] শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে ২০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছেন। তিনি শত শত লোকের জোরপূর্বক গুম করেছেন। ভারত হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। তিনি ভারতে বসে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
ভারতকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী ও বন্ধু উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, তারা [India] ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের সাহায্য করেছিল। ভারত একটি বড় দেশ কিন্তু আমরা দেশটিকে অনুরোধ করতে চাই যে আমাদের বাংলাদেশিদের অবজ্ঞা না করে যারা স্বাধীন হওয়ার জন্য লড়াই করেছে এবং তাদের জীবন দিয়েছে, যারা যুদ্ধ করেছে এবং গণতন্ত্র অর্জন করেছে এবং যারা তাদের উপার্জন করেছে। তাদের রক্ত দিয়ে অধিকার। বাংলাদেশের মানুষ এটা কখনোই মেনে নেবে না।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “আমরা আমাদের সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানাতে চাই যে, এই ইস্যুতে আমরা এক ও ঐক্যবদ্ধ থাকব। আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার এই সংগ্রামে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, “এই সরকারের দায়িত্ব কী? এই সরকারের দায়িত্ব হল এই জগাখিচুড়ি দ্রুত পরিষ্কার করা এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন করা। তারা নির্বাচনী ব্যবস্থায় যে সংস্কার প্রয়োজন তা করতে চায়, প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও অর্থনীতি দ্রুত নির্বাচনের জন্য এগিয়ে যান, তারা আগেই বলেছেন, নির্বাচন যত দেরি হবে, গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি ততই বাড়বে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক। সমাবেশ পরিচালনা করেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কায়সার এম আহমেদ। সমাবেশে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। সমাবেশে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা বক্তব্য দেন।
[ad_2]
Source link