[ad_1]
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, যতদিন আমাদের মনে সাজিদ, সাঈদ, ওয়াসিম, মুগ্ধের রক্ত আছে, ততদিন ভারত আমাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে না। ভারতের সঙ্গে কথা হবে চোখে চোখ রেখে, আর সম্পর্ক হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে।
আজ বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক জোট আয়োজিত ‘বিপ্লবোত্তর ছাত্র ঐক্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ফ্যাসিস্টদের আর কোনো ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া যাবে না। এবার যদি আমরা ব্যর্থ হই, তাহলে বাংলাদেশ আর কোনোদিন ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত আমরা সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছি। বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে প্রিন্সিপালসগত মতপার্থক্য থাকবে, এটা হলো গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কিন্তু এই দেশের অখন্ডতা, বিদেশি আগ্রাসন, সার্বভৌমত্বের এসবের প্রশ্নে কোনো আপস চলবে না।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী সরকার বছরের পর বছর আমাদের শাসন এবং শোষন করেছে। তারা দিল্লিকে কেবলা বানিয়ে ঢাকাকে শাসন করেছে। আপনারা যারা ভারতের পলিসি মেকার আছেন, মালদ্বীপকে বশ্যতা স্বীকার করাতে পারেননি, শ্রীলঙ্কাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। নেপালের কাছে বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে, ভুটান আর মায়ানমারের সঙ্গে আপনাদের কোন্দল। পাশ্ববর্তী কোনো দেশের সঙ্গে আপনাদের সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক নেই।
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের কোনো ধর্মীয় কারণে সম্পর্কের অবনতি হয়নি। তাই যদি হতো তাহলে নেপাল হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও তাদের সঙ্গে কেন আপনাদের ভালো সম্পর্ক নেই।
এ সময় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের মধ্যে যতদিন ঐক্য আছে, তত দিন আমাদের মধ্যে কেউ বিভেদ তৈরি করতে পারবে না। আমাদের সামনে অনেক রাস্তা অতিক্রম করতে হবে, সেই পথ অনেক বেশি কণ্টকাকীর্ণ। আমাদের মধ্যে ঐক্য রাখতে হবে। আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য যেন পরমতসহিষ্ণুতার পর্যায়ে থাকে, আওয়ামী লীগের মত দমন নিপীড়নের পর্যায়ে যেন না যায়।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের বিন ইয়ামিন মোল্লা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ এবং অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
[ad_2]
Source link