[ad_1]
মধুমাধবী (Stixis suaveolens) ফুলের রং যেমন মনোমুগ্ধকর তেমনি তার সুবাস। এই রঙে আছে আভিজাত্য আর সুবাসে আছে মাদকতা। ফুল ফুটলে সুবাস অনেক দূর ছড়িয়ে পড়ে। গাছটি আসামে মধুমালতী নামে পরিচিত হলেও আমাদের দেশে সাধারণত মধুমঞ্জরি বা রেঙ্গুন ক্রিপারকেই এ নামে ডাকা হয়। কোনো কোনো অঞ্চলে এই গাছ মধুমালা নামেও পরিচিত। এটি কাষ্ঠল লতার গাছ। আবার কখনো কখনো গুল্মজাতীয় ঝোপালো উদ্ভিদের মতো দেখা যায়। শাখা–প্রশাখা ঘন ক্ষুদ্র কোমল রোমাবৃত। পাতা ১০ থেকে ৩০ সেমি লম্বা, উপবৃত্তাকার, দীর্ঘায়ত, পুরু, চকচকে, ওপরের অংশ গাঢ় সবুজ এবং নিচের অংশ ফ্যাকাশে সবুজ। পুষ্পবিন্যাস শীর্ষীয়, ১৫ থেকে ৩০ সেমি লম্বা, মখমলের মতো, মঞ্জরিপত্র রৈখিক, ২ থেকে ৪ মিমি লম্বা, ঘন ক্ষুদ্র কোমল রোমাবৃত। ফুলের রং ফ্যাকাশে হলুদ বা সবুজাভ হলুদ, সুগন্ধি, আড়াআড়ি ১২ থেকে ১৮ মিমি লম্বা। পুষ্পাধার আড়াআড়ি আড়াই মিমি। বৃত্যাংশ ৫ থেকে ৬০ মিমি দীর্ঘ, পুরু, ধূসর সবুজ ও রোমশ। পুংকেশর ৩৮টি থেকে অসংখ্য, পুংদণ্ড ৫ থেকে ৬ মিমি লম্বা, রোমশবিহীন ও পরাগধানী কমলা হলুদ। গর্ভাশয় রোমশবিহীন, উপবৃত্তাকার ও কমলা বাদামি রঙের। ফুলের পর আসে ফল। এই ফল চীন ও পূর্ব ভারতে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। বীজ ডিম্বাকার, রসালো অংশ হলুদ, সুগন্ধি ও মিষ্টি। ফুলের মৌসুম বসন্তকাল।
[ad_2]
Source link