Homeজাতীয়সাম্প্রদায়িক বিভেদ প্রতিহত করার অনুরোধ প্রধান বিচারপতির

সাম্প্রদায়িক বিভেদ প্রতিহত করার অনুরোধ প্রধান বিচারপতির

[ad_1]

সাম্প্রদায়িক বিভেদ প্রতিহত করার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার বিজয়া পুনর্মিলনী ও বাণী অর্চনা উদ্‌যাপন পরিষদের অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।

প্রধান বিচারপতি বলেন, সকলের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমরা যে যার অবস্থান থেকে সাম্প্রদায়িক বিভেদকে প্রতিহত করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাব। আমাদের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট বারকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ হিসেবে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরব।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে সুপ্রিম কোর্ট বার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বারের সভাপতি ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো.আসাদুজ্জামান, উদ্‌যাপন পরিষদের আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী প্রমুখ।

পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বর্তমানে নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে আমাদের সমাজে অন্যায়, দুর্নীতি, হিংসা, হানাহানি যে পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানে শারদীয় দুর্গোৎসবের চেতনা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। উৎসব তা যে ধর্মেরই হোক না কেন, আমাদের একাত্মতার প্রতীক। সবাই মিলেমিশে উৎসব উপভোগ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে মানুষে মানুষে বিভেদ ও বৈষম্য দূর করে মানবিক মূল্যবোধকে অগ্রাধিকার প্রদানের বিষয়ে শিক্ষাদান করি। এভাবেই ধীরে ধীরে একটি সমাজ আলোকিত হয়।

তিনি বলেন, ধর্ম আমাদের উদারতা, মানবিকতা, অসাম্প্রদায়িকতা ও সহিষ্ণুতা শিক্ষা দেয়। আবার ধর্মের অপব্যাখ্যাই অনেক সময় মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে। তাই আমাদেরকে ধর্মের মানবিক শিক্ষা গ্রহণ করে বৈষম্যহীন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।

যে বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের জন্য আমাদের জুলাই বিপ্লবের শহীদগণ তাদের জীবন আত্মাহুতি দিয়েছেন। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, বিভেদের দেয়ালগুলোকে সম্প্রীতির বন্ধনে রূপান্তরিত করার মধ্যেই মানবজাতির মুক্তির পথ নিহিত।

প্রধান বিচারপতি আরও বরেন, ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অধিকার কোনো বিশেষ শ্রেণি বা গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি সবার অধিকার। আমি বিশ্বাস করি, এই বারের প্রত্যেক সদস্য এই চেতনাকে বুকে ধারণ করে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে সচেতন রয়েছেন।

আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, প্রচলিত সকল ধর্মেই সুবিচার বা ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। তাই আমরা যদি নিজেদেরকে ধার্মিক কিংবা অন্ততপক্ষে ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দাবি করি, তবে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় নিজের অবস্থান থেকে যতটা সম্ভব অবদান রাখতে হবে।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত