Homeরাজনীতিভারত পায়ে পাড়া দিয়ে যুদ্ধ করতে চায়, আমরা প্রস্তুত: ফয়জুল করীম

ভারত পায়ে পাড়া দিয়ে যুদ্ধ করতে চায়, আমরা প্রস্তুত: ফয়জুল করীম

[ad_1]

ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘ইসলামী ছাত্র আন্দোলন রুহানিয়াত ও জেহাদের প্রয়াস। এ সংগঠন দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে চায়। দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন কাজ করছে। সাহসিকতার সাথে মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।’

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের বিতর্কিত কার্যক্রমে তারা বিতর্কিত হয়েছে। ফারুকীকে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। মানুষের অধিকার পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি।’

মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম অভিযোগ করেন, ‘ভারত পায়ে পাড়া দিয়ে যুদ্ধ করতে চায়। ইসকন সন্ত্রাসবাদ প্রতিষ্ঠা করে দেশকে ধ্বংস করতে চায়। ভারত কোনদিন আমাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে পারেনি। সে দেশের সংখ্যালঘুদের সাথে ভালো ব্যাবহার করেনি। ভারতের সংখ্যালঘুরা হার অনুযায়ী চাকরি পায়নি।’

‘বাংলাদেশে ৩৭% সংখ্যালঘু চাকরি পেয়েছে। ৭১-এ ভারত বাংলাদেশে লুটপাট করে নিয়ে গেছে। ২৫ বছরের গোলামি চুক্তির মাধ্যমে আমাদেরকে গোলাম বানিয়েছে। ইসকনকে নিয়ে তারা বাণিজ্য ও চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়েছে। ভারত পানি বন্ধ করে দিলে আমরা লড়াই করে অধিকার আদায় করবো।’

ফয়জুল করিম বলেন, ‘ভারত সমগ্র বাংলাদেশকে অপমান ও আঘাত করেছে। ভারত যুদ্ধ করতে চাইলে শুরু করে দিন। আমরা লড়াই করতে প্রস্তুত আছি। বাংলাদেশের মানুষ উপবাস বা ক্ষুধার্ত থাকলেও কারও কাছে মাথা নত করবে না।’

প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, ‘যুগে যুগে ফ্যাসিস্টের পতন কিন্তু ফ্যাসিবাদের পতন হয়নি। এখনও দেশে ফ্যাসিবাদ আছে। ইসলাম প্রতিষ্ঠা না হলে ফ্যাসিবাদের পতন হওয়া সম্ভব হবে না। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ভারত মুসলমানের হত্যা করেছে। মসজিদ ভেঙে মন্দির করেছে। বাংলাদেশে এই ধর্মনিরপেক্ষতা চাই না।’

ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করছে। ১৯৭১-এর পরে ভারতের কারণে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর জন্য জীবন দিয়েছে। ভারতের কারণে ফ্যাসিস্ট সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল। বাংলাদেশ অর্থনীতিতে যাতে অগ্রসর না হয় সেজন্য আওয়ামী লীগকে ব্যবস্থা করেছিল।’

সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল আউয়াল, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম প্রমুখ। সম্মেলন ঘোষণা পাঠ করেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহ-সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানছুর।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত