[ad_1]
সিরিয়ার বিদ্রোহীদের দ্রুত অগ্রগতির মধ্যে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহর হোমস দখলের প্রাক্কালে ইরান ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও সামরিক পরামর্শক পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) এক সিনিয়র ইরানি কর্মকর্তা এ তথ্য জানান। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইসলামি বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব থেকে নতুন অভিযান শুরু করে এক সপ্তাহের মধ্যে দেশটির তিনটি প্রধান শহর আলেপ্পো, হামা ও দেইর ইজ-জোর দখল করেছে। শুক্রবার বিদ্রোহীরা হোমসের দিকে অগ্রসর হতে থাকলে আসাদের পক্ষে এটি আরেকটি বড় বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত হয়।
বিদ্রোহীদের এই অপ্রত্যাশিত অভিযান সিরিয়ার ১৩ বছরের দীর্ঘ গৃহযুদ্ধে সবচেয়ে দ্রুতগতির অগ্রগতি। বিদ্রোহীদের নেতৃত্ব দিচ্ছে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস), যা একসময় আল-কায়েদার অংশ ছিল। এই দলটি এখন নিজেদের একটি মধ্যপন্থি গোষ্ঠী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে।
ইরান ইতোমধ্যে সিরিয়ায় সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ এবং পরামর্শক বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এক সিনিয়র ইরানি কর্মকর্তা বলেন, তেহরান সিরিয়াকে গোয়েন্দা ও স্যাটেলাইট সহায়তা দিচ্ছে। একইসঙ্গে হিজবুল্লাহ তাদের সামরিক পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে।
লেবাননের নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ হোমসের নিরাপত্তা জোরদার করতে লেবানন থেকে সীমিত সংখ্যক যোদ্ধা পাঠিয়েছে। তবে ইসরায়েলি হামলার ফলে হিজবুল্লাহর সামরিক সক্ষমতা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরায়েল সিরিয়ার সঙ্গে তাদের গোলান সীমান্তে সামরিক বাহিনী শক্তিশালী করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সিরিয়ার সীমান্তে কোনও হুমকি সহ্য করা হবে না। আমরা আক্রমণ ও প্রতিরক্ষার জন্য প্রস্তুত।
বিদ্রোহীরা হোমস দখল করলে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক থেকে উপকূলীয় অঞ্চল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অঞ্চল ফাঁকা হয়ে গেছে। সরকারি বাহিনী শহরের বাইরে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান নিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ হোমস ছেড়ে উপকূলীয় লাতাকিয়া ও তারতুস অঞ্চলে পালিয়ে গেছে।
এইচটিএসের নেতা আবু মুহাম্মদ আল-জোলানি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য তুলে ধরে বলেন, আমরা একটি নতুন সিরিয়া গড়তে চাই এবং সিরিয়ার শরণার্থীদের তাদের ঘরে ফিরিয়ে আনতে চাই।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর পক্ষে পশ্চিমা দেশগুলোর আস্থা অর্জন কঠিন হতে পারে।
সিরিয়ার সরকারি বাহিনী হোমস রক্ষায় নতুনসেনা মোতায়েন করছে এবং বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে রাস্টান সেতু ধ্বংস করেছে। অন্যদিকে, রাশিয়া হোমসের দিকে বিদ্রোহীদের আগ্রাসন থামাতে বিমান হামলা চালাচ্ছে।
ইরানের সহায়তা ও বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইসরায়েল ইরানের সামরিক সরঞ্জাম সিরিয়ায় পৌঁছানোর বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে।
[ad_2]
Source link