[ad_1]
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ভারতের কাছে গণতন্ত্র শেখার কিছু নেই। ভারতে যখন মসজিদ ভাঙা হয়, সেগুলো তখন আলোচনায় আসে না। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যখন একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে হাঁটছে, তখন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে। এই অপচেষ্টা এবং ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি আয়োজিত আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে ধর্মীয় উগ্রবাদীদের হামলা এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, প্রতিবেশী দেশ আমাদের দেশের ওপর যেভাবে আন্তর্জাতিকভাবে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে, সরকারকে নাজুক অবস্থায় ফেলার জন্য— আমি তার তীব্র নিন্দা জানাই। বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ সৃষ্টিই হয়েছিল গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য। যেই প্রতিবেশী রাষ্ট্র স্বাধীনতার সময় আমাদের সাহায্য করেছিল, সেই প্রতিবেশী রাষ্ট্র এখন প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যে ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা এদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, নির্বাচনি ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে— ছাত্রজনতা আগস্টে নিজেদের রক্ত ঢেলে দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত করেছে। তাই এখন দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা দেখা দিয়েছে। গণতন্ত্রের এই নতুন স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
কৃষকদলের সাবেক এই আহ্বায়ক বলেন, ভারতের কাছে গণতন্ত্র শেখার কিছু নাই। বাংলাদেশ কখনও কারও কাছে মাথা নত করে নাই। আর মাথা নত করবেও না। এদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান যারা আছে, সবাই আমাদের ভাই। এদেরকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে কোনও ঘটনা ঘটে নাই, ঘটনা যা ঘটেছে সীমানার ওইপাড়েই ঘটেছে। আমরা আশা করি, ভারত সব ষড়যন্ত্র ত্যাগ করে আমাদের বন্ধু হিসেবেই থাকবে।
বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টির আয়োজনে সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ইকরামূল খানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন— জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) এর মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী প্রমুখ।
[ad_2]
Source link