[ad_1]
১৯৭৯ সালের সামরিক আইন জারির সঙ্গে এবারের বড় এক পার্থক্য হচ্ছে দেশে কী ঘটে চলেছে তা টিভিতে সরাসরি দেখার সুযোগ পেয়েছেন মানুষ। হান কাং নিজেও দেশ থেকে অনেক দূরে স্টকহোমে বসে টিভিতে এসব দেখেন। তিনি বলেন, ‘সব কিছু আমি দেখেছি—যাঁরা শুধু নিজেদের শরীর দিয়ে সামরিক বাহিনীর সাঁজোয়া যানের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছেন, অন্যরা যাঁরা অস্ত্রধারী সৈন্যদের খালি হাতে মোকাবিলা করে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছেন, তাঁদের সবাইকে আমি দেখেছি। আমি আরও দেখেছি, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ চিৎকার করে সৈন্যদের সরে যেতে বলছেন, অনেকটা যেন সে রকম, মায়েরা যখন আপন সন্তানকে উদ্দেশে কিছু বলে।’
হান কাং বলেন, সেই মুহূর্তকে তাঁর কাছে ‘হৃদয়স্পর্শী আন্তরিকতা ও সাহসের প্রতিফলন’ হিসেবে মনে হয়েছে। দেশ যেন আবার অতীতে ফিরে না যায়, সেই আন্তরিক আশা প্রকাশ করেন হান কাং। একই সঙ্গে তিনি ঘটনাস্থলে মোতায়েন তরুণ পুলিশ কর্মকর্তা ও সেনাসদস্যদের মধ্যে দেখা দেওয়াও বিভ্রান্তির উল্লেখও করেছেন। হান কাংয়ের কাছে মনে হয়েছে, তাঁরা যেন দ্বিধায় ভুগছে, যেন নিজের বিবেকের সঙ্গে তাঁদের যুদ্ধ করতে হচ্ছে। সর্বজনীন মূল্যবোধের অবস্থান থেকে তাঁদের সেই দ্বিধা যেন ছিল চিন্তা ও বিচার করে দেখা এবং সমাধান খুঁজে পাওয়ার লক্ষ্যে চালানো সক্রিয় এক প্রচেষ্টা।
রাষ্ট্রের চালানো হিংস্রতার মুখে মানুষের জীবনে নেমে আসা দুর্যোগ হান কাংয়ের উপন্যাসে কাব্যিক প্রতিফলনের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে। ‘হিউম্যান অ্যাক্ট’ উপন্যাসের পেছনে যেমন রয়েছে ১৯৮০ সালের গোয়াংজুর গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনে সরকারের নিষ্ঠুরতা, একইভাবে পরবর্তী সময়ে লেখা আরও একটি উপন্যাস ‘উই ডু নট পার্ট’–এর কাহিনি আবর্তিত হয়েছে ১৯৪৮ সালের এপ্রিলে জেজু গণ–অভ্যুত্থানের সময় সরকারি বাহিনীর হাতে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের প্রাণ হারানোর মর্মান্তিকতা।
[ad_2]
Source link