[ad_1]
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার তিনটি জেলায় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ও শনিবার সংঘর্ষে ছয় সেনা ও ২২ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআর এ তথ্য দিয়েছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এ খবর জানিয়েছে।
আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানায়, খাইবার পাখতুনখোয়ার থল জেলায় সন্ত্রাসীদের একটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় সেনাবাহিনী। সংঘর্ষে তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়। তবে তীব্র গোলাগুলির সময় ছয়জন সেনা সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করে শহিদের মর্যাদা অর্জন করেছেন। তারা হলেন সেপাই নিজামুদ্দিন, নাইব সুবেদার মোহাম্মদ খালিক, হাবিলদার জাদিদ আলি ও ল্যান্স নায়েক শহীদুর রহমান, সিফাতউল্লাহ , উইলায়াত হুসেইন।
ত্যাংক জেলার গুল ইমাম এলাকায় সেনাবাহিনী গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত এক অভিযানে নয় সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে। ওই অভিযানে আরও ছয়জন আহত হয়েছে।
উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় অন্য একটি অভিযানে ১০ জন সন্ত্রাসীকে সফলভাবে নিরস্ত্র করা হয়েছে বলে জানায় আইএসপিআর। সন্ত্রাসীদের অবশিষ্ট উপস্থিতি নির্মূল করতে এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের সাহসী সেনাদের এই আত্মত্যাগ আমাদের সংকল্প আরও দৃঢ় করে।
রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ পৃথক বিবৃতিতে সন্ত্রাসবিরোধী এই অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর সফলতা ও শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি জারদারি বলেছেন, ২২ জন সন্ত্রাসীকে হত্যার এই সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর একটি বড় অর্জন। সন্ত্রাসীদের সম্পূর্ণ নির্মূল না করা পর্যন্ত এই অভিযান চলবে।
নিহত সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জীবন উৎসর্গকারীদের সাহসকে পুরো জাতি স্যালুট জানায়। আমাদের দেশ রক্ষায় তাদের আত্মত্যাগ জাতির জন্য গর্বের বিষয়।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও নিরাপত্তা বাহিনীর দক্ষতার প্রশংসা করে বলেন, প্রিয় মাতৃভূমির জন্য জীবন উৎসর্গকারী এই সাহসী সেনাদের প্রতি আমি ও পুরো জাতি শ্রদ্ধা জানাই। তিনি আরও বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ নামক দানবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলতেই থাকবে, যতক্ষণ না এটি দেশ থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল হয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে পুরো জাতি নিরাপত্তা বাহিনীর পাশে আছে।
সম্প্রতি পাকিস্তানে বিশেষত বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়ায় সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) ২০২২ সালে সরকারের সঙ্গে হওয়া অস্ত্রবিরতি ভেঙে দেয়ার পর থেকে এসব হামলা আরও বেড়ে গেছে।
গত নভেম্বর মাসে সন্ত্রাসী হামলা ও সংঘর্ষে অন্তত ২৪৫ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ৬৮ জন নিরাপত্তা কর্মী।
[ad_2]
Source link