[ad_1]
সেখানে নেতারা যখন মিলিত হবেন, তখন মানবিক কূটনীতি ও মধ্যস্থতার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা উচিত।
যেকোনো আলোচনায় সাধারণ মানুষের সুরক্ষা সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। যদিও এইচটিএস বিতর্কিত ও চরমপন্থী সংগঠন, তবু তারা কিছু ক্ষেত্রে যুদ্ধের নিয়ম অনুসরণের চেষ্টা করেছে (যেমন হামলা শুরুর আগে সতর্কতা দেওয়া)। তবে এ ধরনের প্রচেষ্টা সাধারণত ক্ষণস্থায়ী হয় এবং এইচটিএস সাধারণত মানবিক কূটনীতি নিয়ে খুব বেশি আলোচনা করে না।
তবু ভালো, তারা এখন সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার জন্য কিছু উদ্যোগ নিচ্ছে এবং রক্তক্ষয় কমাতে অন্যান্য গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা করতে ইচ্ছা প্রকাশ করছে।
এটি এইচটিএস ও আসাদ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। এমনকি খুব কম পরিমাণে হলেও যোগাযোগ দরকার, যাতে তারা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং যুদ্ধের নিয়ম মেনে চলে।
এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ক্ষতি কমানো, মানবিক সহায়তা আনা–নেওয়ার পথ বিপদ–মুক্ত রাখা এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় মৌলিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। যোগাযোগ না হলে সহিংসতা আরও বেড়ে যেতে পারে।
যদিও পূর্ণাঙ্গ মধ্যস্থতার জন্য অনেক দেশের সহযোগিতা প্রয়োজন; তবে প্রথমে সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ। এতে মানবিক সংকট সমাধান করা সম্ভব হবে।
একই সময়ে বড় মৌলিক সমস্যা সমাধানের জন্য বহুপক্ষীয় মধ্যস্থতা প্রয়োজন। তবে তুরস্ক ও রাশিয়ার নেতৃত্বে ‘আসতানা প্রক্রিয়া’ (‘আসতানা প্রসেস’ হলো সিরিয়ার সংকট সমাধানের জন্য তুরস্ক, রাশিয়া ও ইরানের শুরু করা একটি কূটনৈতিক উদ্যোগ। ২০১৭ সালে কাজাখস্তানের রাজধানী আসতানায় প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই এটি এই নামে পরিচিত) এখনকার পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য উপযুক্ত মনে হচ্ছে না।
[ad_2]
Source link