[ad_1]
ফারুকীর কাছে প্রশ্ন ছিল, আপনি লিখেছেন, ‘৮৪০’ বানানোর সময় জানতেন না, এটা মুক্তি পাবে কি না। আপনার সিনেমা আগের সরকার মুক্তি পেতে দেয়নি। তারপরও কেন এমন একটা প্রকল্প বেছে নিলেন?
উত্তরে তিনি বলেন, ‘আগের সরকার ২০১৭ সাল থেকে টানা ৫ বছর আমার ছবি আটকে রেখেছিল। ২০১৫ সালে তাদের কেন্দ্রীয় তদন্ত দল দিয়ে হয়রানি করেছিল। ফলে আমি জানতাম যে তাদের একধরনের আক্রমণের রাডারের মধ্যে আছি। কিন্তু ফিল্ম মেকার তো…কত আর দিন দিন পাখি গান না গেয়ে থাকতে পারে? আমি ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ নামে একটা ছবি বানিয়েছি, যেটা চরকিতে আছে। এই ছবির মধ্যে আমি দেখিয়েছি, ফিল্ম মেকার তার কথা বলতে গিয়ে কতটা সংকটের মধ্যে পড়ে। আমি যে সংকটের মধ্যে আছি, এটা আওয়ামী লীগের আমলেও দেখিয়েছি। তবে এটা যখন শুটিং করছি, এর মধ্যে এত বিস্ফোরক সব জিনিস আছে, ফলে আমার একটা আশঙ্কা সারাক্ষণ ছিল, আমরা যে একটা কনটেন্ট কষ্ট করে বানাচ্ছি, আমরা কি আদৌ দেখাতে পারব? এই আশঙ্কা আমাকে সারাক্ষণ মানসিক চাপ দিত। প্রতিদিন শুটিংয়ের মধ্যে ভাবতাম, আজকে কি কেউ বুঝে ফেলবে, আমরা কী নিয়ে শুটিং করছি? শুটিং লোকেশনের ডানে–বাঁয়ে সারাক্ষণ তাকাতাম। তবে ফিল্ম মেকারকে কখনো কখনো ঝুঁকি নিতে হয়। একটা সিনেমা আটকে আছে, আরেকটা নাহয় আটকে দেবে—এর বেশি তো আর কিছু হবে না। নাহয় আমাকে একসময় ফিল্ম মেকিংই ছেড়ে দিতে হবে।’
আপনি বলছিলেন, ‘৮৪০’ আওয়ামী দুঃশাসনের এক্স-রে রিপোর্ট, এটা কি আপনার অভিনয়শিল্পীরা বুঝতে পেরেছিলেন? ফারুকী বলেন, অভিনয়শিল্পীরা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছিলেন। কিন্তু তাঁরা কাজটার মধ্যে এতটা ডুবে গিয়েছিলেন, তাই হয়তো কাউকে বিষয়টা বলেননি।
[ad_2]
Source link