[ad_1]
দৃষ্টিশক্তি মহান আল্লাহর অমূল্য নিয়ামত, যা মানব জীবনে অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে। কোরআনের নানা আয়াতে আল্লাহ এই দৃষ্টিশক্তিকে হিদায়াত, ঈমান গ্রহণ, উপদেশ এবং শিক্ষা গ্রহণের এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেছেন। যেমন—সুরা বালাদে আল্লাহ বলেন, “আমি কি তোমাদের চক্ষু দিইনি?” (সুরা বালাদ, আয়াত: ৮)
এই আয়াতে আল্লাহ মানুষকে হিদায়াত লাভের জন্য দেওয়া তাঁর অসংখ্য নিয়ামতের মধ্যে চোখের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। যে ব্যক্তি এই নিয়ামতের শোকরিয়া আদায় করবে না, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে অন্ধ অবস্থায় উঠাবেন।
পবিত্র কোরআনে আরও বলা হয়েছে, “আর যে আমার স্মরণ থেকে বিমুখ থাকবে, নিশ্চয়ই তার জীবনযাপন হবে সংকুচিত এবং আমি তাকে কিয়ামতের দিন জমায়েত করব অন্ধ অবস্থায়। সে বলবে, হে আমার রব, কেন আপনি আমাকে অন্ধ অবস্থায় উঠালেন? অথচ আমি তো ছিলাম দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন! তিনি বলবেন, এভাবেই আমার নিদর্শনাবলি তোমার কাছে এসেছিল; কিন্তু তুমি তা ছেড়ে দিয়েছিলে এবং সেভাবে আজ তোমাকেও (জাহান্নামে) ছেড়ে দেওয়া হবে।” (সুরা: ত্বহা, আয়াত: ১২৪-১২৬)
আরেকটি আয়াতে বলা হয়েছে, “আর আল্লাহ যাকে হিদায়াত দান করেন সে-ই হিদায়াতপ্রাপ্ত এবং যাকে তিনি পথহারা করেন তুমি কখনো তার জন্য তাঁকে ছাড়া অভিভাবক পাবে না। আর আমি (আল্লাহ) কিয়ামতের দিন তাদের একত্র করব উপুড় করে, অন্ধ, মূক ও বধির অবস্থায়।”
কোরআনের এই আয়াতগুলি দেখে মানুষের মনে এক প্রশ্ন ওঠতে পারে, কিয়ামতের দিন কি চেহারা দিয়ে চলাচল করা সম্ভব? এই ধরনের প্রশ্ন সাহাবায়ে কেরামদের মাঝেও ছিল। আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী (সা.)-কে প্রশ্ন করেছিলেন, “হে আল্লাহর নবী, কিয়ামতের দিন কাফিরদের কি মুখে ভর করে একত্র করা হবে?” তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, “যিনি এ দুনিয়ায় দুই পায়ের ওপর মানুষকে চালাতে পারেন, তিনি কি কিয়ামতের দিন মুখে ভর করে তাকে চালাতে পারবেন না?” (বুখারি, হাদিস: ৪৭৬০)
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক হিদায়াত দান করুন এবং কিয়ামতের কঠিন পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
[ad_2]
Source link