[ad_1]
সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের জন্য তিন-চার মাসই যথেষ্ট বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংস্কারসহ যেসব সংস্কার সরকার করছে, সেগুলো সম্পন্ন করে নির্বাচন উপহার দিতে খুব বেশি হলে তিন-চার মাস লাগবে।
আজ সোমবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া সংস্কার প্রস্তাবগুলো তুলে ধরে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপি যেসব প্রস্তাব করেছে, সে অনুযায়ী দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। এখানে এমন কোনো প্রস্তাব করা হয়নি, যেটাতে নতুন করে কোনো কিছু করা লাগবে। আমরা নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করার কথা বলেছি। নির্বাচনের সচিবালয় করা এবং তাদের কিছু ক্ষমতা দেওয়া ইত্যাদির কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রচলিত আইনগুলোর সংশোধন বা সংস্কারের জন্য বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না।’
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘একটা নির্বাচনের বেসিক কাজ ভোটার তালিকা প্রণয়ন। এরপর আসছে নির্বাচনী প্রস্তুতি। শিডিউল ঘোষণা করলে প্রার্থীরা রুল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিল করবেন। এসব কিছু করতে এত বেশি সময় লাগার কথা না। আমরা যেসব প্রস্তাব দিয়েছি, সেগুলো মেনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে খুব বেশি বিলম্ব হওয়ার প্রয়োজন হয় না।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা যেসব সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি, তা দলের পক্ষ থেকে সুচিন্তিতভাবে করা হয়েছে। এ জন্য আমরা এক্সপার্ট কমিটির সঙ্গে বসেছি। অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। যেসব সংস্কারের কথা বলেছি, সেগুলো অধিকাংশ আইনি সংস্কারের বিষয়, কাগজের বিষয়। প্র্যাকটিক্যালি যে কাজগুলোর জন্য নির্বাচন কমিশন সময় নেয়, তার মধ্যে আছে—ভোটার তালিকা প্রণয়ন, নতুন ভোটার সংযোজন, কী কী ভুলভ্রান্তি আছে তা সারানো ও ভুয়া ভোটার চিহ্নিত করা। তারপর নির্বাচন অফিসার নিয়োগসহ সব কাজ গোছাতে প্র্যাকটিক্যালি দুই-তিন মাসের বেশি সময় লাগার কথা না।’
[ad_2]
Source link