[ad_1]
টিসিবির স্মার্ট কার্ড তৈরির ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সহায়তা চেয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। সম্প্রতি এই সহায়তা চেয়ে জেলা প্রশাসকদের কাছে লিখিত চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে টিসিবির (ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) ৫৭ লাখ ৩ হাজার ২৯টি কার্ড প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, টিসিবি আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। টিসিবি’র স্মার্টকার্ড প্রস্তুতের সময় জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন থেকে দেওয়া উপকারভোগীর ডাটাবেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, অনেক উপকারভোগীর তথ্যে ভুল রয়েছে, উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নির্ধারিত মানদণ্ড যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি এবং অনেক কার্ডধারী দীর্ঘদিন ধরে পণ্য উত্তোলন করছেন না।
দেশের প্রত্যেক সিটি করপোরেশন, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নওয়ারী উপকারভোগীর সংখ্যা আগেই নির্ধারণ করা রয়েছে। এক কোটি উপকারভোগীর মধ্যে অবশিষ্ট প্রায় ৪৭ লাখ উপকারভোগী নির্বাচনে স্পষ্ট ধারণা পাওয়ার জন্য স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড পোর্টালে লগইন করা যেতে পারে। স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড ড্যাশবোর্ড রিপোর্ট ব্যবস্থাপনা পদক্ষেপ অনুসরণ করে পোর্টালে লগইন করে সব জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নভিত্তিক উপকারভোগীর স্ট্যাটাসও দেখা যাবে। তাছাড়া এরই মধ্যে প্রস্তুত করা স্মার্টকার্ডের ক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তন, সংশোধন প্রয়োজন হলে উল্লিখিত পোর্টালে দেওয়া নিয়ম অনুসরণ করে তা করা যেতে পারে।’
চিঠিতে ওই ৪৭ লাখসহ যারা দীর্ঘদিন পণ্য গ্রহণ করেন না বা কার্ডধারী পরিবার এই সুবিধা পাওয়ার উপযুক্ত নয়, তাদের স্থলে নতুন উপকারভোগী অন্তর্ভুক্ত করে ডাটাবেজ প্রস্তুত করে টিসিবিতে পাঠানোর জন্য চিঠিতে ডিসিদের অনুরোধ জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা।
ডিসিদের কাছে লেখা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, সমগ্র বাংলাদেশে প্রায় এক কোটি নিম্ন আয়ের ফ্যামিলি কার্ডধারী উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় টিসিবি’র ডিলারদের মাধ্যমে ২০২২ সালের মার্চ থেকে ভর্তুকিমূল্যে পরিবারপ্রতি ২ লিটার ভোজ্যতেল, ২ কেজি মসুর ডাল এবং ১ কেজি করে চিনি বিক্রি করা হচ্ছে। এ কার্যক্রমকে আরও ফলপ্রসূ করতে উপকারভোগী বাছাইয়ের মানদণ্ড যথাযথভাবে অনুসরণ করে প্রকৃত নিম্ন আয়ের পরিবার বাছাই করে পরিবার প্রতি একটি স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড প্রদান করার কার্যক্রম চলমান।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, সরকারি এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো সত্যিকার অর্থে সরকারি সহায়তা পাওয়ার যোগ্য উপকারভোগী নির্বাচনপূর্বক স্মার্টকার্ড দিয়ে সঠিক ব্যক্তিদের ভর্তুকিমূল্যে পণ্য সরবরাহ করা।
এ প্রেক্ষাপটে দ্রুত স্মার্ট কার্ড প্রণয়নের স্বার্থে উপকারভোগী বাছাই নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণে প্রকৃত প্রাপ্য পরিবার নির্বাচন করে অবশিষ্ট প্রায় ৪৭ লাখসহ যারা দীর্ঘদিন পণ্য গ্রহণ করেন না বা কার্ডধারী পরিবার এই সুবিধা পাওয়ার উপযুক্ত নয়, তাদের স্থলে নতুন উপকারভোগী অন্তর্ভুক্ত করে ডাটাবেজ প্রস্তুত করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে টিসিবিতে পাঠানোর জন্য চিঠিতে ডিসিদের অনুরোধ জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা।
[ad_2]
Source link