[ad_1]
গত কয়েক মাসে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ঢিলেঢালাভাবে কাজ করতে দেখছি। একটি বিপ্লবোত্তর বাস্তবতায় আমাদের পররাষ্ট্রনীতি যে রকম গতিশীল হওয়া দরকার ছিল, সেখানে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। তাদের কাজের ধারা এখনো গতানুগতিক, নতুন উদ্যোগ নেওয়ার চিহ্ন দেখা যায়নি। আমাদের উচিত হবে, পররাষ্ট্রনীতি ও পররাষ্ট্রবিষয়ক কার্যক্রম (বিশেষ করে যেসব রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ) আরও গতিশীল করা।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে আস্থার ঘাটতির মধ্যেই ঢাকায় দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে একটি বৈঠক হয়ে গেল। আমরা আশা করব, এই উদ্যোগ যেন এগিয়ে নেওয়া হয়। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। আমি এর আগে গণমাধ্যমে বলেছিলাম, ভারতের পক্ষ থেকে যদি কোনো বিশেষ দূতকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়, তাহলে দুই দেশের সম্পর্কে যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে, সেটি উত্তরণে সহায়ক হবে। একইভাবে বাংলাদেশের বিশেষ দূত ভারতে গিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক গতিশীল করতে প্রচেষ্টা চালাতে পারেন।
সম্প্রতি আমরা দেখছি, ভারতীয় নেতারা নানা ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। এর কারণে দুই দেশের সম্পর্ক একটি তিক্ততার পর্যায়ে চলে যেতে বসেছে। এই পরিস্থিতিতে যেকোনো সময় যেকোনো ভুল পদক্ষেপ আসতে পারে। সে কারণেই আমাদের কূটনীতিটা আরও গতিশীল, উদ্ভাবনমূলক ও শক্ত হওয়া প্রয়োজন। আমাদের জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রেখে, আমাদের মর্যাদা বজায় রেখে কূটনৈতিক সম্পর্কটা বাড়ানো প্রয়োজন।
কূটনীতির বাইরে গিয়েও দুই দেশের রাজনৈতিক পর্যায়ে নতুন করে যোগাযোগ ও আলাপ-আলোচনা হতে পারে। সেটি ঢাকা বা দিল্লিতে কিংবা তৃতীয় কোনো দেশেও হতে পারে।
[ad_2]
Source link