[ad_1]
বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা প্রণয়ন না করে প্রযুক্তির মাধ্যমে তালিকা আপগ্রেড করার পরামর্শ দিলেও বিএনপির এই মতের উল্টো মত দিয়েছে জামায়াত। দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান জানিয়েছেন, তার দল চায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ হোক।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে দলের এই অবস্থান তুলে ধরেন আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘বৈষম্যহীন, ন্যায়বিচার সমৃদ্ধ সেই সমাজ গড়তে হলে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে কাউকে না কাউকে এ দেশের দায়িত্ব হাতে তুলে নিতে হবে। এ সুষ্ঠু নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা বর্তমান ইন্টেরিওর গভর্নমেন্টের কাছে দাবি জানিয়েছি যে, প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন করে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সমতল মাঠ তৈরি করুন। এর জন্য একটি রোডম্যাপ দিন।’
‘পরপর তিনটি জাতীয় নির্বাচনের নামে প্রহসন করায় দেশের মানুষ ভোটের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। অসংখ্য যুবক-যুবতীর বয়স হয়েছে ভোট দেওয়ার। কিন্তু তারা ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। নির্বাচনের প্রতি তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। এজন্য আমরা যৌক্তিক সময় দেওয়ার পক্ষে। বিলম্বত বা দীর্ঘায়িত্ব সময় নয়, যৌক্তিক সময় দিতে চাই।’
‘পাশাপাশি এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে প্রবাসী ভাইয়েরা আমাদের সঙ্গে সমান তালে যুদ্ধ করেছেন। আমরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাদেরকেও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’ বলেও দাবি করে আমির।
প্রসঙ্গত, ভোটার তালিকা প্রণয়নে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন দেখছে না বিএনপি। গত সোমবার দলটির নেতা, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘সত্যিকার অর্থে একটি সঠিক ভোটার তালিকা চান তারা। কিন্তু এর জন্য বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বাড়ি বাড়ি যাওয়া অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ, অপ্রয়োজনীয় এবং তাতে ভুল হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। প্রযুক্তির মাধ্যমে ভোটার তালিকা আপগ্রেডের কাজটি করা হলে তা অবশ্যই নির্ভুল হবে।’
শূরার বক্তব্যে শফিকুর রহমান আরও উল্লেখ করেন, দেশ যখন এই পরিবর্তনের ইতিবাচক ধারায় আছে তখন আমরা লক্ষ্য করছি, এই দেশকে অশান্ত করার জন্য পতিত স্বৈরাচার এবং তাদের দোসররা দেশে-বিদেশে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। তারা আমাদের সমাজকে অস্থিতিশীল করতে চায়।
জামায়াত আমির তার বক্তব্যের শেষ দিকে বলেন, ‘আমরা আমাদের যুবকদেরকে এদেশের উন্নয়নের কারিগর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। সমাজ পরিচালনার দায়িত্ব আমরা ক্রমান্বয়ে তাদের হাতে তুলে দিতে চাই।’
[ad_2]
Source link