[ad_1]
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধসে পড়েছে। সংকটের সুযোগ নিয়ে মুদ্রাবাজার দখল করা হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি মূল্যস্ফীতিকে ত্বরান্বিত করেছে এবং প্রবৃদ্ধি সীমাবদ্ধ করেছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা গর্তে ডুবেছে। ব্যবসায় বিনিয়োগ এবং উদ্ভাবনের চেয়ে ক্রনিজম থেকে বেশি লাভ হয়েছে।
প্রবৃদ্ধির নামে প্রবৃদ্ধিবিরোধী নীতির প্রসার ঘটেছে।সরকারি অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি ঋণের বোঝা বেড়েছে। অনেক মোটা অঙ্কের ঋণ থেকে অর্থের মূল্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু ঋণের ওপর সুদ ও পরিশোধ জমতে থাকে। শাসকশ্রেণি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর ঋণের অন্যায় বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে।
আত্মতুষ্টি তৎকালীন নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি কেড়ে নিয়েছিল। সমস্যার স্বীকৃতি মেলেনি, সমাধানের সুযোগ পায়নি। আমাদের নিয়ম, নীতি ও বিভিন্ন অঙ্গনে স্থানীয় এবং জাতীয় সংগঠনগুলো তছনছ হয়ে গেছে। দুর্নীতির দুষ্টচক্র সব স্তরে গেঁড়ে বসেছে, রাজকোষে পুরোপুরি জমা হয়নি করদাতার টাকা, উন্নয়নের নামে ভ্যানিটি প্রকল্প অগ্রাধিকার পেয়েছে, অনিয়ম নিয়ম হয়েছে, অযোগ্য মেধাকে হারিয়েছে, শর্ষের ভেতরে ভূতের রাজ চলেছে।
এ অবস্থায় সরকার চালানোর গুরুদায়িত্ব গ্রহণের জন্য শুধু ধন্যবাদ দিলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অবিচার হবে। কারণ, সমবেদনার পাল্লাটা বেশি ভারী। যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, তা পূরণের জন্য আমাদের সবাইকে অধ্যবসায়ের সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। সার্বভৌমত্ব, বাক্স্বাধীনতা, সমৃদ্ধি, ন্যায়বিচার ও অন্তর্ভুক্তি—এই বছরের বিজয় দিবসে আমাদের জাতীয় অঙ্গীকার হতে হবে।
● জাহিদ হোসেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ
[ad_2]
Source link