Homeজাতীয়কনকনে ঠান্ডায় শীতের পোশাকের বেচাকেনা বেড়েছে

কনকনে ঠান্ডায় শীতের পোশাকের বেচাকেনা বেড়েছে

[ad_1]

রাজধানীতে এখন বইছে হিম হাওয়া। দিনে দুই একবার মিষ্টি রোদের দেখা মিললেও কনকনে ঠান্ডার কারণে  জবুথবু মানুষ। হঠাৎ শীতের তীব্রতায় তীব্রতায় বেড়েছে গরম পোশাকের কেনাবেচা। বিক্রেতাদের আশা এভাবে বিক্রি চলতে থাকলে লাভের মুখ দেখবেন তারা। তবে গতবারের তুলনায় এবার শীতের কাপড়ের দাম কিছুটা চড়া। 

বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, শীতের পোশাক কেনার জন্য শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষ ভিড় করছেন মার্কেটগুলোতে। বিভিন্ন দোকানে হরেক রকমের পোশাক সংগ্রহ করে রেখেছেন বিক্রেতারা। রাজধানীর নিউ মার্কেটে দেখা যায়, ছেলেদের পোশাকের ক্ষেত্রে জ্যাকেট, সোয়েটার, লম্বা হাতার মোটা গেঞ্জির চাহিদা বেশি। এসব পোশাক ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। নারীদের সোয়েটার, উলের ফুল হাতা গেঞ্জি, জ্যাকেট ও হুডি বেশি বিক্রি হচ্ছে। এসব পোশাকও ৫০০ থেকে শুরু করে দেড়-দুই হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। তবে কিছুটা কম দামে কেনাকাটার জন্য নিউ মার্কেট এলাকায় বেশি ভিড় দেখা যায়। নিউ মার্কেট পোশাক ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে মার্কেটে ক্রেতা একটু বেশি। বিক্রি ভালোই। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের ব্যবসা ভালো হবে।

নিউমার্কেটের নূরজাহান প্লাজার কাপড়ের ব্যবসায়ী রিয়াদ হাসান বলেন, এবার শীতের শুরু থেকেই বিক্রি ভালো হচ্ছে। দিনে ১৫-২০ হাজার টাকার বিক্রি করছি। আমাদের দোকানে ছেলেদের সব  ধরনের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। মার্কেটে বেশি তরুণ কাস্টমার। ঈদের মার্কেটের চেয়ে বেশি আশায় থাকি শীতের মার্কেট ধরার জন্য। আশা করি এবার ভালো বেচাকেনা হবে। মিদুল হাসান নামের এক তরুণ ক্রেতা জনকণ্ঠকে বলেন, গতবারের তুলনায় প্রতিটি হুডি বা জ্যাকেটের দাম ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেশি চাওয়া হচ্ছে। হঠাৎ শীত পড়ে যাওয়ার কারণে চাহিদা বেশি। সেজন্য ব্যবসায়ীরা দামও তাদের হাতে রাখছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, মৌসুমি ব্যবসা হওয়ায় বিনিয়োগ বেশি। কারণ, স্বল্প সময়ে ব্যবসা করতে হয়, তাই বেশি অর্থ লগ্নি করতে হয়। আবার ব্যবসা ভালো না হলে, পণ্য বিক্রি না হলে টাকা আটকে যায়। তখন পরের বছরের জন্য অপেক্ষা করতে হয় তাদের। এ ছাড়া নিউমার্কেটের গ্লোব সুপার মার্কেট, চন্দ্রিমা মার্কেট, গাউছিয়া মার্কেটেও দেখা গেছে ভিড়। মার্কেটের সঙ্গে সঙ্গে ফুটপাতও জমজমাট। মার্কেটের তুলনায় ফুটপাতের দোকানে কম দামে শীতের পোশাক মিলছে। ফুটপাতে গেঞ্জি ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার নারীদের কাপড় নিয়ে ফুটপাতে দেখা গেছে আলাদা দোকান। নিউমার্কেটের ফুটপাতের কাপড় বিক্রেতা মাহফুজ আলম বলেন, বেশ কয়েক দিন ধরে বিক্রি বেড়েছে। বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ভিড় থাকে বেশি। আমরা কম লাভে কাপড় বিক্রি করি। এজন্য বিক্রিও বেশি। তবে অন্যান্য বারের তুলনায় এবার শীতের পোশাকের দাম বেশি। পুরান ঢাকার কবির শেখ সপরিবারে শীতের কাপড় কিনতে জনকন্ঠকে বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে কাপড় কিনতে এসেছি। কিন্তু গতবারের থেকে এবার কাপড়ের দাম একটু বেশি। ব্যবসায়ীরা শুরু থেকেই সুযোগ নিচ্ছে।  এ ছাড়া জিরো পয়েন্ট, মতিঝিল, বায়তুল মোকাররম মার্কেট, পুরান ঢাকার ওয়াইজঘাটের ফুটপাত, লক্ষ্মীবাজার কাপড়ের মার্কেট ও সদরঘাটের আশপাশের ফুটপাতের ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। এদিকে শীতের পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে কম্বল ও লেপ তোষকের চাহিদাও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। 



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত