[ad_1]
আগে এই স্মৃতিসৌধের গেটের তালার চাবি থাকত টি-বাঁধের আরেক দোকানি মো. বাচ্চুর কাছে। তিনি বলেন, ‘আমি কয়েক বছর বিশেষ দিনগুলোতে তালা খুলে দিতাম। ঝাড়ু দিতাম। দেখভাল করতাম। এ জন্য আমাকে ৫০০ টাকাও কোনো দিন দেয়নি। তাই চাবি এলজিইডি অফিসে জমা দিয়েছি। এখন কেউ তালা খোলে কি না, আমি জানি না। আজও খুলতে দেখিনি।’
এই বধ্যভূমিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মীর আবদুল কাইয়ুম, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নাজমুল হক সরকার, সরকারি কর্মকর্তা আবদুল হক সরকার, ব্যবসায়ী আজিজুল হক চৌধুরী, শামসুল ইসলাম, আইনজীবী সুরেশ, বীরেন সরকার, মকবুল হক চৌধুরী, আলতাফ হোসেন, মির্জা সুলতান, মির্জা আজিজুর রহমান, নওরোজ দৌল্লাহ খান, আমিনুল হক, তৈয়ব আলী, আলাউদ্দিন চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহম্মদ মুক্তার মরদেহ পাওয়া গিয়েছিল। একই রশিতে বাঁধা ছিল তাঁদের দেহ। পরনের পোশাক ও হাতের আংটি দেখে স্বজনেরা তাঁদের শনাক্ত করেন।
গত বছরও বুদ্ধিজীবী দিবসে এই বধ্যভূমির স্মৃতিসৌধে তালা লাগানো ছিল। জাতীয় শ্রমিক লীগের জেলা শাখা ও সাবেক ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতারা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে সেদিন তালা ভাঙেন। এর আগের বছর ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বরও তালা লাগানো ছিল। সেদিনও জনমানব উন্নয়ন সংস্থা নামের একটি সংগঠনের সদস্যরা তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন।
এবারও তালা লাগিয়ে রাখার ব্যাপারে কথা বলতে দুপুরে এলজিইডির রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহা. নাশির উদ্দিনকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। সন্ধ্যায় তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
[ad_2]
Source link