[ad_1]
আফগানিস্তানের বিপক্ষে শনিবার সিরিজ নির্ধারণী টি-টোয়েন্টির শেষ দিকে কিছু রান যোগ হওয়ায় জিম্বাবুয়ের স্কোরবোর্ডে জমা পড়ে ১২৭ রান। গতকাল শুক্রবার ১০৩ রানে অলআউট হওয়া দল ব্যাটিংয়ে ভুগলো আবারও। যদিও সিরিজ শুরুর ম্যাচে ১৪৫ রান তাড়া করেছিল অনায়াসে। শেষ ম্যাচে মাত্র ১২৮ রানের লক্ষ্য দেওয়ার পর সিরিজ জিততে বোলারদের দায়িত্ব নিতে হতো। একটু হলেও আফগানদের ব্যাটারদের ঘাবড়ে দিয়েছিল তারা। শেষ পর্যন্ত স্নায়ুচাপ সামলে ৩ উইকেটে ম্যাচটি জিতেছে আফগানিস্তান।
হারারেতে টসে জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিং করতে পাঠায় আফগানিস্তান। আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও মুজিব উর রহমানের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেনি টপ অর্ডার। মিডল অর্ডার থেকে লোয়ার অর্ডারে রশিদ খান ঘূর্ণিজাদুতে ভেলকি দেখান। দ্বিতীয় উইকেটে ব্রায়ান বেনেট ও ডিয়ন মায়ার্স ৩৫ রান যোগ করে জিম্বাবুয়ের বলার মতো জুটি গড়েন। বেনেট সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন। ২১ রান আসে ওয়েসলি মাধেভেরের ব্যাটে।
শেষ দিকে তাশিঙ্গা মুসেকিভা (১২) ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজার (১৭) ব্যাটে ১৯.৫ ওভারে ১২৭ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা।
রশিদ চার উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের সফলতম বোলার। দুটি করে উইকেট নেন নাভিন উল হক, মুজিব ও আজমতউল্লাহ।
ছোট লক্ষ্যে নেমে সপ্তম ওভারেই ৪৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে আফগানরা। আজমতউল্লাহ ও গুলবাদিন নাইবের ৪৮ রানের জুটিতে অবস্থা পাল্টে দেয় সফরকারীরা।
গুলবাদিন (২২) ও আজমতউল্লাহকে (৩৪) ফিরিয়ে ৭৯ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের শীর্ষ টি-টোয়েন্টি বোলার হন সিকান্দার রাজা।
৯২ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পর মোহাম্মদ নবী তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় দলকে জয়ের বন্দরে নেন। ১৮ বলে ২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ইনিংসের তিন বল বাকি থাকতে জয় নিশ্চিত করে আফগানরা। ১৯.৩ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৮ রান করে তারা।
রাজার সমান দুটি করে উইকেট নেন ব্লেসিং মুজারাবানি ও ট্রেভর গুয়ান্ডু।
টানা সপ্তম দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের জন্য নিজেদের দুষতে পারে জিম্বাবুয়ে। শেষ ম্যাচে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে উইকেট তো ছুড়েছেই। এক্সট্রা রান দিয়েছে ১৭টি, যেখানে আফগানদের ছিল সাতটি। আর ফারাজ আকরাম ১১ বলে ওভার করেছেন, ওয়াইড ছিল পাঁচটি।
[ad_2]
Source link