[ad_1]
কোনো দেশে বৈষম্যহীনভাবে সব জাতিকে একই গতিতে এগোতে দিলে তো সুনির্দিষ্ট কোনো জাতির বাড়তি সুবিধার প্রয়োজনই হয় না। প্রয়োজন হয় কেবল সমান সুযোগ আর সুষ্ঠু পরিচর্যার। আদিবাসীদের ভাষা সংরক্ষণ, ভূমির অধিকার রক্ষা, পাঠ্যবইয়ে নিজস্ব ভাষায় পাঠদানের ব্যবস্থা, বৈচিত্র্যময় জীবনযাপনের সঙ্গে মূলধারার জনগোষ্ঠীর পরিচয়, উন্নত জীবনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি মুক্তিযুদ্ধে পাওয়া স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩ বছরেও।
উপরন্তু এসেছে নতুন এক বিপদ। আধুনিক সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে তরুণ আদিবাসীরা হারাতে বসেছেন নিজেদের সত্তা ও সংস্কৃতিকে। গ্রহণযোগ্য হতে না পারার আশঙ্কায় অনেকে নিজেদের আদিবাসী বলে পরিচয় দিতেও কুণ্ঠা বোধ করেন। ভূমি সংরক্ষণে এবং ভাষা ও সংস্কৃতিচর্চার পূর্ণাঙ্গ বিকাশে যথাযথ সরকারি পদক্ষেপ না থাকায় আদিবাসীদের অবস্থা দিন দিন নাজুক থেকে নাজুকতর হচ্ছে।
জাতি, ধর্ম, বর্ণের বিভিন্নতাকে বাদ দিয়ে কখনোই একাত্তরে মুক্তি সম্ভব ছিল না। হাজারো বৈচিত্র্যের মধ্য দিয়ে মানুষে মানুষে সম্প্রীতির সম্পর্ক, সুস্থ রাজনৈতিক চর্চা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, আক্ষরিক অর্থে নয় প্রকৃতপক্ষেই স্বাধীন বিচার বিভাগ, মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা—এই সবকিছু বৈষম্যহীনভাবে অনুশীলন করার পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা কি আসলেও আমরা অর্জন করতে পেরেছি? এমন একটা কথা আছে যে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। তাহলে কি স্বাধীনতার স্বাদ পেতে না পেতেই আরেক অদৃশ্য পরাধীনতার শিকলে বাঁধা পড়েছে মানুষ, আদিবাসী জনগোষ্ঠীরাও? আদিবাসীদের জাতিগত পরিচয় পর্যবসিত হলো তুচ্ছতাচ্ছিল্য, উপহাস বা গালিগালাজের বস্তুতে।
[ad_2]
Source link