Homeজাতীয়সাদুল্লাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর খাবার নিয়ে অনিয়ম

সাদুল্লাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর খাবার নিয়ে অনিয়ম

[ad_1]

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর খাবার নিয়ে চলছে অনিয়ম । খোঁজ  মিলছেনা খাদ্য তালিকার। চলছে মনগড়া নিম্নমানের খাবার সরবরাহ। দুপুরের রান্না করা খাবার চলছে রাতেও। এমন খাবার সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ।

রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, রান্না করা কক্ষের প্রবেশ পথের দরজা তালা  বদ্ধ। সাংবাদিক আসার খবর পেয়ে চলে আসেন শামীম নামের এক ব্যক্তি। তিনি এখানে তেরো বছর ধরে কর্মরত। খুলে দেন প্রবেশ পথের দরজা। এসময় রান্না করা কক্ষের ভিতরে প্রবেশ করে চোখে পড়ে, ৪টি হান্ডির মধ্যে ২ টিতে ভাত, ১টিতে পেঁপে আলুর ঘাটি, ১টিতে রয়েছে ব্রয়লার মুরগির মাংস।  দুপুরে খাবার পরিবেশনের পর এগুলো অবশিষ্ট রয়েছে। রাতে পরিবেশন করা হবে গরম ভাতের সাথে দুপুরের রান্না করা তরকারি।  

খাবার তালিকার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জানান, বিল্ডিং এর কাজের সময় ওসব নষ্ট হয়ে গেছে। আমাকে যা এনে দেয়া হয় তা রান্না করে পরিবেশন করি। তিনি নিজেও জানেন না এখানে কোন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান খাদ্য সরবরাহ কাজে নিয়োজিত।  

 হিরুর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে জানান, মুল ঠিকাদার পাবনার এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তিনি (হিরু))সহ পলাশবাড়ীর ওই ব্যক্তি সাব-ঠিকাদারের দায়িত্ব পালন করছেন। হিরু জানান, আমরা খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করে  থাকি। আরএমও তার লোক দিয়ে বুঝে নেন। তারপর আর আমি জানি না।’

এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, এখানে কোন ওয়ার্ডে খাদ্যতালিকা না থাকায় তারা খাবার নিয়ে উচ্চবাচ্যও করতে পারেন না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খাবারের সাথে ব্রয়লার মুরগির মাংস দেয়া হলেও তা ছোট্ট একটি টুকরা। সরবরাহ করা মাছের পরিমাণও খুব কম। দেয়া হয় অতি নিম্নমানের মোটা চালের ভাত। সকালে পাউরুটির সাথে একটি সাগরকলা, একটি ডিম সরবরাহ করা হয়। এ রুটি এবং সাগরকলাও অতি নিম্মমানের। সব বয়সি রোগীদের জন্য একই ধরনের খাবার দেওয়া হয়, যা তাদের ফেলে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। এ ছাড়াও ডায়াবেটিকসে আক্রান্ত কোন রোগীর জন্য লাল আটার রুটি এবং ভাত খেতে না পারা রোগীর জন্য গরুর দুধ দেয়ার নির্দেশনা থাকলেও কোন দিনই তা দেয়া হয় না। খাবারের মান অতি নিম্নমানের। রোগীরা তো দূরের কথা, স্বজনরাও মুখে দিতে পারেন না। ফলে অনেক সময় বাহিরের খাবার খেতে হয়। তাদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, খাবার পরিবেশনকারীরা নোংরা পাত্রে কিছু ভাত ও একটি বাটিতে সামান্য তরকারি এনে ওয়ার্ডের একপাশে দাঁড়ান। সেখান থেকে সবাইকে নিজ নিজ থালা-বাটিতে করে খাবার নিয়ে যেতে বলেন। দুস্থদের রিলিফ নেয়ার মতো করে রোগীর স্বজনরা তাদের কথামতো খাবার সংগ্রহ করেন। এটা খুবই অপমানজনক।

এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খাবার মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও)

 ডাঃ সুরঞ্জন কুমার জানান, দুপুরের রান্না করা খাবার রাতে গরম করে দেয়ার বিষয়টি আমি জানিনা। নিম্নমানের খাবার বিষয়ে জানান, বাজারে মাছ, মাংস, সবজির দাম বেশী হওয়ায় ঠিকাদার এভাবে খাদ্য সরবরাহ করছেন। খাদ্য তালিকার বিষয়ে জানান, বিল্ডিং এর কাজের সময় তালিকাটি নষ্ট হয়ে গেছে। তালিকা ছাড়া কিভাবে নিত্যদিনের খাবার সরবরাহ  ও পরিবেশন করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান এই আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ সুরঞ্জন কুমার।

গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডাঃ কানিজ সাবিহা এর সাথে  কথা হলে  জানান, ওয়ার্ডে খাদ্য সরবরাহের তালিকা ঝোলানো না থাকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে। আর রোগীদের মাঝে উন্নত মানের খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার ব্যাপারে জোরালো পদক্ষেপ নেব।বিষয়টি খতিয়ে দেখে হচ্ছে। পরে  এর বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা নেয়া হবে।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত