[ad_1]
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর একজন নেতাকর্মীও মানবতাবিরোধী অপরাধ কোনও কালেই করেনি। যারা নিজেদেরকে কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল দাবি করে সেই আওয়ামী লীগের হাতে কেন স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিরাপদ ছিল না। কারণ তারা ভারতের তাবেদারির স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ছিল।’
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল সুপ্রিম কোর্ট শাখার উদ্যোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ভবনে শামছুল হক চৌধুরী হল রুমে অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মাসুদ উল্লেখ করেন, জামায়াতে ইসলামী কারো তাবেদারির স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ছিল না বলেই তারা (আওয়ামী লীগ) স্বাধীনতা বিরোধী বলে অপপ্রচার চালিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতা বিরোধী নয়, জামায়াতে ইসলামী মর্যাদাশীল স্বাধীনতার পক্ষে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ভারত যদি বিশ্বাস করতো, তাহলে তারা আমাদের সার্বভৌমত্বে আঘাত আনতো না।
তিনি মনে করেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও বাংলাদেশ আলোর পথ পায়নি। অন্ধকার জগৎ থেকে বাংলাদেশকে বের করে আলোর জগতে নিতে হলে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘একজন বিবেকবান আইনজীবী কী বলতে পারবেন— মানুষের তৈরি আইনে ন্যায় বিচার হয় বা হয়েছে? যদি ন্যায় বিচার হতো তাহলে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বিরুদ্ধে ভারতের পরামর্শে শেখ হাসিনার সাজানো মামলায় সকলেই মুক্ত পেতো। কেন সাক্ষীদের আদালতে সাক্ষ্য দিতে দেওয়া হয়নি?— কেন আদালত থেকে সাক্ষীতে গুম করে নিয়ে যেতে হলো?— এর কারণ ন্যায় বিচার ছিল না।’
বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট গিয়াসউদ্দিন মিঠুর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আবদুল বাতেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মশিউল আলম, বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. সাইফুর রহমান, বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির ট্রেজারার ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ কে এম রেজাউল করিম খন্দকার, অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন ভুঁইয়া, অ্যাডভোকেট ড. গোলাম রহমান ভুইয়া প্রমুখ।
[ad_2]
Source link