[ad_1]
তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে বিরাজমান সমস্যায় গতরাত থেকে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। হতাহতের ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনায় যাদের ইন্ধনে ঘটেছে এবং যারা সরাসরি হামলা চালিয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা, নিহতদের ক্ষতিপূরণসহ আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানান ইসলামী আন্দোলনের এই সিনিয়র নায়েবে আমির।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত হয়ে সমবেদনা জানাতে কাকরাইলে মারকাজ মসজিদে উপস্থিত হয়ে দায়িত্বশীলদের সাথে আলোচনা করেন মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, আতিয়ার রহমান, মাওলানা লোকমান জাফরী, মাওলানা খলিলুর রহমান, শহিদুল ইসলাম কবির, রেজাউল করীম আবরার ও ওবায়েদ বিন মোস্তফা প্রমুখ।
ফয়জুল করীম বলেন, ‘তাবলিগ জামায়াত বিশ্বের শান্তিপূর্ণ ও প্রেমময় ধারার একটি দাওয়াতি কাফেলা। মুসলমানকে সম্মান করা, মানুষের কল্যাণ কামনা করে বিনীত ও মাধুর্যময় ভাষায় দাওয়াত উপস্থাপন করার মাধ্যমে তাবলিগ সারা বিশ্বের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি কার্যক্রম হিসেবে সমাদৃত হয়ে আসছে।’
তিনি বলেন, ‘মাওলানা সাদের কিছু বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তাবলিগ জামায়াতে দুটি ধারা তৈরি হয়েছে। যা দুঃখজনক হলেও একে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ সংঘাতে জড়িয়ে পড়া উদ্বেগজনক এবং মুসলিম উম্মাহর জন্য খারাপ দৃষ্টান্ত। বিশেষ করে ২০২৫-এর ইজতেমাকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটছে তা কল্পনাতীত। ইসলামের দাওয়াতি মেজাজ, তাবলিগের ইতিহাস, চরিত্র বিবেচনায় এমন হানাহানি ও মৃত্যুর কথা চিন্তাও করা যায় না। অবাক বিস্ময়ে তাই আমাদের দেখতে হচ্ছে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা এবং তার করুণ প্রতিফল বিবেচনায় উম্মাহর যে কোনও সদস্যের ন্যায় আমরাও ব্যথিত ও কম্পিত।’
‘তাই উভয় পক্ষের নেতাদের প্রতি অনুরোধ করছি, নিজস্ব সমস্যার সমাধান নিজেরাই করুন। দেশের সর্বজন স্বীকৃত উলামায়ে কেরাম এবং প্রয়োজনবোধে দেওবন্দ, করাচি ও আরবের সর্বজন স্বীকৃত উলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুন। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই এই ধরণের হানাহানি পরিহার করুন।’
[ad_2]
Source link