[ad_1]
বিএনপির নাম ভাঙিয়ে যারা বা বিভিন্ন নাম যোগ করে সংগঠন করলে এরসঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জাতীয়তাবাদী নামে কোনও সংগঠন করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিএনপির কেউ যদি ভুঁইফোড় সংগঠনের ব্যানারে যায়, তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্বীকৃত অঙ্গ সংগঠনের বাইরে শিক্ষকদের সংগঠন, ডাক্তারদের সংগঠন ড্যাব, ইঞ্জিনিয়ার ও কৃষিবিদদের সংগঠন অ্যাব, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন আছে বলে জানান তিনি।
মূলত, ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার পতিত হলে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কিছু কুচক্রী মহল লুটপাট ও চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নিলো বিএনপি।
রিজভী বলেন, ‘পৃথিবী কাঁপানো এক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছে ছাত্র-জনতা। এই ফ্যাসিস্টকে সরাতে অনেককে রক্ত আর প্রাণ দিতে হয়েছে।’
ইনস্টিটিউট পর্যায়ে যে কাজগুলো করার দরকার, সেগুলো অন্তর্বর্তী সরকার নেয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এদেশের মানুষ খেয়ে পরে বাঁচতে চায়। এখনও দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি সরকার। আমদানির জন্য বিকল্প দেশ দেখা দরকার ছিল, যে উদ্যোগ সরকার নেয়নি।’
দুর্ভিক্ষ হওয়ায় দেশে একমাত্র শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান খাদ্যে স্বয়ংপূর্ণ এনেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে কেন পরনির্ভরশীল হতে হবে? সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকারের কোনও পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। সিন্ডিকেট না ভাঙতে পারলে খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষ বাঁচতে পারবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সহসাংগঠনিক আব্দুল খালেক, সহপ্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, ঢাবির অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, যুবদলের সাবেক নেতা এসএম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
[ad_2]
Source link