[ad_1]
তবে ভালো খবর হলো অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে রপ্তানি ও প্রবাসে আয়ে কিছুটা গতি এসেছে। চার মাস ধরে প্রতি মাসেই ২০০ কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে। আর চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে প্রবাসী আয়ে প্রায় ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অন্যদিকে নানামুখী পদক্ষেপের কারণে গত পাঁচ মাসে রপ্তানি আয় দুই হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। রপ্তানি ও প্রবাসী আয় ভালো হওয়ায় তা রিজার্ভের ক্ষয় ঠেকিয়েছে।
তবে খেলাপি ঋণ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাংক থেকে অনিয়ম-দুর্নীতি করে নামে-বেনামে যেসব ঋণ নেওয়া নেওয়া হয়েছে, তা এখন খেলাপি হতে শুরু করেছে। সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা।
অর্থনীতিবিদের দৃষ্টিতে
বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ২০২৪ সালের অর্থনীতিকে দুই ভাগে দেখতে হবে। একটি আগের সরকারের আমলের, অপরটি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরের অংশ। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে আর্থসামাজিক খাতে অগ্রগতি সত্ত্বেও অর্থনীতির ভেতরে বিভিন্ন ধরনের চাপ সৃষ্টি হচ্ছিল। যেমন বণ্টনের অন্যায্যতা, ক্রয়ক্ষমতার অবনমন, বিনিময় হারে বড় ধস, উচ্চ মূল্যস্ফীতি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পেছনেও অর্থনীতির পুঞ্জীভূত সমস্যা ভূমিকা রেখেছে।
মোস্তাফিজুর বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অর্থনীতি ও সুশাসন নিয়ে বড় প্রত্যাশা রয়েছে। পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়েছে। বৈষম্য ও বণ্টনের ন্যায্যতা—এসব বিষয় আলোচনায় এসেছে। কিন্তু এখনো অর্থনীতির বিভিন্ন সমস্যা বিরাজমান। যেমন উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার অবনমনের অব্যাহত ধারা। অন্তর্বর্তী সরকার সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি, রাজস্ব নীতি, বাজার তদারকির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু অর্থনীতির অনেক সূচকে পরিবর্তন আনতে পারেনি, অর্থনীতি গতি পায়নি।
[ad_2]
Source link