[ad_1]
দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবার বিভিন্ন জেলায় বড়দিন উদ্যাপিত হয়েছে। দিনটিতে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়ে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
শিশু-নারীসহ সব বয়সের মানুষের উপস্থিতিতে গির্জাগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ময়মনসিংহ জেলায় ২৫৯টি গির্জার মধ্যে ১৮টিতে জাঁকজমকপূর্ণভাবে বড়দিনের অনুষ্ঠান হয়। অন্য গির্জাসমূহে বড়দিনের প্রার্থনা করা হয়। নগরীর ভাটিকাশর সাধু পেট্রিকের ক্যাথেড্রাল গির্জায় শুরু হয় বিশেষ প্রার্থনা। প্রার্থনায় অংশ নিতে ভোরের কুয়াশা ভেদ করে লোকজন দলে দলে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আসতে শুরু করে। প্রার্থনা শেষে ময়মনসিংহের ধর্মপাল বিশপ পনেন পোল কুবি বলেন, ‘মানুষের কল্যাণেই হোক আমাদের যাত্রা। আমরা প্রার্থনা করেছি প্রতিটি মানুষ যেন তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারে।’
সিলেটে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বড়দিন উদ্যাপন করা হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট নগরের নয়াসড়কে প্রেসবিটারিয়ান চার্জে বড়দিনের সবচেয়ে বড় উৎসব উদ্যাপিত হয়। খ্রিষ্টান কমিউনিটি সিলেটের উদ্যোগে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। সকাল থেকেই নতুন জামাকাপড় পরে গির্জাগুলোতে ভিড় করে লোকজন। বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও মেতে ওঠে উচ্ছ্বাসে। দিনব্যাপী কেক কাটা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন ছিল।
শেরপুরে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, আনন্দ-উৎসব এবং প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বড়দিন উদ্যাপন করা হয়। যিশুর মহিমাকীর্তনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ উৎসব। জানা গেছে, শেরপুরের ঝিনাইগাতীর মরিয়মনগর, নালিতাবাড়ীর বারোমারী ধর্মপল্লিতে শ্রীবরদী ও সদর উপজেলায় ৪৬টি গির্জায় নানা আচার-অনুষ্ঠান এবং প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বড়দিন উদ্যাপিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে গির্জাগুলো ফুল, নানা রঙের বেলুন, নকশা করা কাগজ ও জরি ব্যবহার করে সাজানো হয়েছে। পাশাপাশি বড়দিন পালনে সেজেছে বাড়িঘরও।
টাঙ্গাইলের মধুপুরে বড়দিন উদ্যাপিত হয়েছে।
বান্দরবানের রুমা উপজেলার বিভিন্ন পাড়ায় শুভেচ্ছা কেক এবং শিশুদের জন্য উপহারসামগ্রী দিয়েছে সেনাবাহিনী। গতকাল বড়দিন উপলক্ষে সম্প্রীতি ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্প ও বগা লেক আর্মি ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ ২৫টি দুর্গম এলাকার পাড়ায় শুভেচ্ছাস্বরূপ কেক ও শিশুদের উপহার দেওয়া হয়।
খাগড়াছড়িতে বড়দিন পালন করা হয়েছে। দিনটি ঘিরে জেলার সব গির্জা সেজেছে বর্ণিল সাজে। খাগড়াছড়ি সদরের খাগড়াপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সকাল ১০টায় বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনা, দুপুর ১২টায় কেক কাটা, শিশু, কিশোর-কিশোরীদের মাঝে উপহার বিতরণ ও বিভিন্ন খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চ সংঘের আয়োজনে চন্দ্রঘোনা খ্রিষ্টান ব্যাপ্টিস্ট চার্চে বড়দিন পালন করা হয়েছে। এ ছাড়া গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বড়দিন উদ্যাপন করা হয়।
[ad_2]
Source link