Homeদেশের গণমাধ্যমেতামিমের ফোনের পর থেকেই বিপিএল খেলতে রোমাঞ্চিত আফ্রিদি

তামিমের ফোনের পর থেকেই বিপিএল খেলতে রোমাঞ্চিত আফ্রিদি

[ad_1]

বিপিএলে আগের আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলতে আসার কথা ছিল শাহীন শাহ আফ্রিদির। কিন্তু  ইনজুরির কারণে আসতে পারেননি তিনি। এবার ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলতে এসেছেন পাকিস্তানের তারকা পেসার। শনিবার প্রথম দিনের মতো ফরচুন বরিশালের জার্সিতে অনুশীলনও করেছেন। 

প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার বলেছেন, ‘বিপিএলে খেলার জন্য আমি রোমাঞ্চিত। তামিম ভাই যখন এই দলে খেলার জন্য কল দিলেন, তখন থেকেই আমি এক্সাইটেড। আপাতত সামনে তাকিয়ে। জানি বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেট ভালোবাসে এবং তারা নিজেদের সুপারস্টারদের ভালোবাসে। আশা করি আমি এখানে ভালো খেলতে পারবো।’

বিপিএলে গত কয়েক বছর ধরেই সেভাবে তারকা ক্রিকেটার আসছে না। এবারও তেমন উল্লেখযোগ্য ক্রিকেটার নেই। যারা আছেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় তারকা আফ্রিদিই। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় তারকা হওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার বলেছেন, ‘সত্যি বলতে আমি কোনও তারকা নই। বাংলাদেশের আরও অনেকে খেলছে। তামিম খেলছে। জাতীয় দলের সবাই খেলছে। আমার জন্য এবং আপনাদের জন্যও নিজেদের ক্রিকেটাররাই তারকা হওয়া উচিত। আমি শুধু একজন ক্রিকেটার হিসেবে আছি এবং দলের জন্য পারফর্ম করতে চেষ্টা করবো। দলকে ম্যাচ জেতানোর চেষ্টা করবো।’

বিপিএলে আসার পেছনে তামিমের ভূমিকার কথা বার বার উল্লেখ করেছেন আফ্রিদি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘এখানে আসার পেছনে তামিম ইকবালের ফোন কল ভূমিকা রেখেছে। তামিম ভাই আমাকে যখনই কল করেন, আমি তৈরি থাকি। গত বছর আন্তর্জাতিক সূচিতে ব্যস্ত ছিলাম। গত ২-৩ বছরই আমি খেলতে পারিনি। এবার সময় পেয়েছি। আশা করি, এখানে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারবো।’

বিপিএলের মূল্যায়ন করতে গিয়ে আফ্রিদি বলেছেন, ‘আমি অনেক বছর ধরে বিপিএল দেখছি। খুব ভালো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। এখানে খেলে আমাদের অনেক শেখার আছে। যখন পাকিস্তানের হয়ে ভবিষ্যতে খেলতে আসবো, আশা করি এখানে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারবো। আমি জানি, অনেক পাকিস্তানি এখানে খেলে। আমি প্রথমবার খেলবো। দেখা যাক, ক্রিকেট কেমন হয়। এরপর আমি তুলনা করতে পারবো।’

দলের পরিবেশ নিয়ে বলতে গিয়ে আফ্রিদি বলেছেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একে অপরের বিপক্ষে অনেক খেলেছি। আমি জানি, স্থানীয় ক্রিকেটাররা সবসময় ভালো। উইকেট সম্পর্কে তাদের ভালো ধারণা থাকে। আশা করি, আমি অনেক শিখতে পারবো। পাকিস্তানের হয়ে ভবিষ্যতে যখন বাংলাদেশে আসবো, আশা করি তখন উইকেট জানা থাকবে এবং আমি ভালো খেলতে পারব।’

কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে বিশ্বের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সফল শাহীন শাহ আফ্রিদি। প্রথম ওভারে সবচেয়ে বেশি উইকেট তারই। যৌথভাবে ভুবেনশ্বর কুমারের সাথে ৪৬ উইকেট নিয়ে শীর্ষে আছেন তারা।  নিজের এই রেকর্ড নিয়ে আফ্রিদি বলেছেন, ‘আমি রেকর্ড গড়া বা ভাঙার চেষ্টা করছি না। টি-টোয়েন্টিতে আমি শুরুতে শুধু ভালো জায়গায় বোলিংয়ের চেষ্টা করি। টি-টোয়েন্টিতে উইকেট সবসময় ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো থাকে। তাই আমি বৈচিত্র্য কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। (শহীদ আফ্রিদির সঙ্গে বিপিএলে রাইভালরি) খুব ভালো ব্যাপার এটি। আমার জন্য ভালো বিষয় হলো, তিনি খেলছেন না। তাই মাঠে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে না। তিনি মেন্টর হিসেবে আসছেন। আমি আশা করি বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটাররা তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে।’
 
সংবাদ মাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশি পেসারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন আফ্রিদি। বিশেষ করে তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন এই পেসার, ‘বাংলাদেশের ফাস্ট বোলিং বিভাগ খুব ভালো। আমি তাসকিনের কথা বলতে পারি। এখন বাংলাদেশের ফাস্ট বোলিংয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তরুণ বোলার (নাহিদ) রানা, সে খুব ভালো বোলিং করেছে। তার গতি আছে, লম্বা বোলার। আমার মতে, ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশের অনেক ফাস্ট বোলার উঠে আসছে। তাদের যথাযথ দিকনির্দেশনা দিয়ে লাল বলের ক্রিকেট খেলার জন্য তৈরি করতে হবে। কারণ লাল বলের ক্রিকেট খেলেই আপনি বেশি উন্নতি করতে পারবেন।’



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত