[ad_1]
‘ঐক্য–সংস্কার ছাড়া দ্রুত বিচার করা কঠিন’
গণহত্যার বিচারের প্রথম চ্যালেঞ্জ ‘ঐক্যের ফাটল’ বলে মনে করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। সংলাপে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে এসে কেউ জমি দখলে ব্যস্ত, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ব্যস্ত, কেউ পদ–পদবি দখলে ব্যস্ত, কেউ নিজস্ব লোক পুনর্বাসনে ব্যস্ত। তিনি বলেন, ‘খুনিদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য, খুনিদের বিচারের জন্য আমাদের ওপর যে পরিমাণ চাপ প্রয়োগ করা প্রয়োজন ছিল, সেখানে আপনারা ফোকাস করেননি। ’
ঐক্য ছাড়া সংস্কার সম্ভব নয় উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান বলেন, সংস্কার ছাড়া যৌক্তিক কোনো বাংলাদেশ উপহার দেওয়া সম্ভব নয়। ঐক্য ও সংস্কার ছাড়া গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে করাটা কঠিন এবং দুরূহ বলে মনে করেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে যাতে আন্তর্জাতিক ও জাতীয়ভাবে কোনো ফরমায়েশি রায়ের তকমা না লাগে—এটি দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, ক্রেডিবিলিটি মেইনটেন (বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখা) করা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের।
সাধারণ হত্যা মামলা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা—দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস এবং ভিন্ন আঙ্গিকের বলেও উল্লেখ করেন আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, একটি ঘটনা এবং একজন সাক্ষীই যথেষ্ট। যদি সেই সাক্ষী সলিড (প্রকৃত) সাক্ষী হয়। বিগত ১৬ বছরে যে পরিবেশে হত্যা, গুম, নির্যাতন করা হয়েছে; একজন সাক্ষী না, অগণিত সাক্ষী পাওয়া গেছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের কোনো ভাই, কোনো আত্মীয়, কোনো মামা, কোনো চাচা, কোনো বন্ধু, কোনো প্রতিবেশী—কেউ এসে এই বিচারপ্রক্রিয়া থেকে সরাতে পারবে না, সেই প্রতিশ্রুতি ও প্রত্যাশা আপনাদের কাছে ব্যক্ত করছি। ’
[ad_2]
Source link