[ad_1]
এই জলবায়ুবিশেষজ্ঞ বলেন, ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে ঢাকা শহরের সবচেয়ে উঁচু জায়গা, অর্থাৎ এই ভবন (গুলশান-২ নম্বরের সিক্স সিজন হোটেল), এর আশপাশের ভবন ছাড়া সব জায়গাতে পানি উঠবে এবং আমাদের যে প্রতিরক্ষা বাঁধ আছে, সেটাও অকেজো হয়ে যেতে পারে।
অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়ছে। লবণাক্ততা ভেতরে ঢুকছে। এখন থেকে ৭০-৮০ বছর পরে যশোর থেকে গোপালগঞ্জ, গোপালগঞ্জ থেকে চাঁদপুর, চাঁদপুর থেকে ফেনী—এর দক্ষিণাংশ সমুদ্রের অংশ হয়ে যাবে। রাজশাহী থেকে সিরাজগঞ্জ, তার থেকে আশুগঞ্জ—এই মাঝখানের জায়গাটা লবণাক্ত হয়ে যাবে। ঢাকা শহরের চারপাশে লবণাক্ত পানি থাকবে। ১৫ ফুট উচ্চতার প্রস্তুতি থাকলেও ২০, ২২ বা ২৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এসবের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
চলতি শতাব্দীর মধ্যে পৃথিবীর তাপমাত্রা শিল্পবিপ্লবের আগের তুলনায় দুই ডিগ্রির বেশি বাড়লে বর্তমানে যে প্রজাতির ধান, গম ইত্যাদি হয়, তার উৎপাদন অর্ধেকের বেশি কমে যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক আইনুন নিশাত। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে, ফুল ফোটার সময় বদলে যাবে। পরাগায়নপ্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। যখন ধান ফলার কথা, তখন না–ও ফলতে পারে। কাজেই এখান থেকেই বিরূপ প্রতিক্রিয়াটা হবে।
[ad_2]
Source link