[ad_1]
বাংলাদেশে জেলবন্দি ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বুকে ব্যথা হওয়ায় কার্ডিওলজি ডিপার্টমেন্টে ভর্তি করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবীকে।
আগামী ২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জেলবন্দি চিন্ময় কৃষ্ণের শুনানিতে শারীরিক অসুস্থতার কারণে কোর্টে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে মঙ্গলবার বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছিলেন প্রবীণ আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। ১৫ ডিসেম্বর রাতে তিনি বাংলাদেশ থেকে ব্যারাকপুরে তার ছেলের বাড়িতে এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। বর্তমানে রবীন্দ্রবাবু সেখানেই অবস্থান করছেন। এদিন রবীন্দ্রবাবু বলেন, ‘আমার খুব ইচ্ছা ছিল, আগামী ২ জানুয়ারি চিন্ময় প্রভুর মুক্তির জন্য চট্টগ্রাম আদালতে জামিনের শুনানিতে অংশ নেওয়ার। সেভাবে প্রস্তুতিও নিচ্ছিলাম। কিন্তু রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা জন্য কলকাতায় আসার দরকার ছিল, তাই ভেবেছিলাম দ্রুত এখানে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফিরে যাবো ঢাকায়। তারপর ১ তারিখে চট্টগ্রাম যাবো চিন্ময় কৃষ্ণের শুনানিতে অংশ নিতে। কিন্তু এখানে এসে আমি ফের অসুস্থ হয়ে পড়লাম। শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা আবার শুরু হয়েছে। তাছাড়াও হাঁটুর ব্যথাও খুব বেড়ে গেছে। যে কারণে আমায় চিকিৎসকরা বিমান যাত্রা বা বাড়ির থেকে বের হতে নিষেধ করেছেন। আমরা স্ত্রী ও ছেলে আমার এ অবস্থায় কিছুতেই ঢাকা নিয়ে যেতে চাইছেন না। যার ফলে প্রবল ইচ্ছা থাকলেও আমি শুনানির দিন সম্ভবত উপস্থিত থাকতে পারবো না।’ শুনানি কীভাবে হবে?– প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার প্রতিদিনই চিন্ময় প্রভুর সংগঠন বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জোটের সদস্যদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। তাদের আমি একজন আইনজীবী ঠিকও করে দিয়েছি। আমি নিয়মিত এ বিষয়ে তাদেরকে আইনি শলা-পরামর্শ করছি, কীভাবে বেল মুভ করতে হবে। একটু সুস্থ হলেই, চিকিৎসকরা বললেই আমি দেশে ফিরবো। পালিয়ে যাবো না। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের সনাতনীদের জন্য আমার লড়াই চলবে– এটুকু বলতে পারি। এ নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকেও চিঠি দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এ বিষয়ে দেখা করে সব বলতে চাই। উনি যদি আমায় ডাকেন তবে আমি অবশ্যই যাবো।’
মঙ্গলবার সকালেই চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষের সঙ্গে বেশ খানিকক্ষণ কথা বলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এদিন দুপুরে ব্যারাকপুরে রবীন্দ্র ঘোষের ছেলের বাড়িতে বৈঠক শেষে তারা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান বর্ষীয়ান আইনজীবী। কুণাল ঘোষের কাছে তিনি সেই ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। কুণাল বলেন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ইস্যুতে যা যা মন্তব্য করেছেন, তা রবীন্দ্রবাবুর ভালো লেগেছে। সেই জন্যই উনি মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে বলেছেন।” কিন্তু সমাধানের জন্য এ রাজ্যের পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়। সে বিষয়ে কেন্দ্র সরকারকেই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। রবীন্দ্রবাবুকে বারবার বোঝান কুণাল ঘোষ।
[ad_2]
Source link