[ad_1]
প্রতিদিন আমানতকারীরা যে অঙ্কের চেক বা পাওনা দাবি নিয়ে ব্যাংকে হাজির হচ্ছেন, তার তুলনায় খুব সামান্য অর্থই তাঁরা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে পারছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাংকের শাখায় শাখায় অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, তারল্যসংকটে পড়া এসব ব্যাংক সাময়িক, স্বল্পমেয়াদি এরূপ ধার বা কর্জ কীভাবে পরিশোধ করবে?
সংশ্লিষ্ট সবার জানা উচিত, বাণিজ্যিক ব্যাংকের পরিচালনায় নতুন আমানত সংগ্রহ এবং নতুন ঋণ বিতরণ সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বাণিজ্যিক ব্যাংক যে সুদে ঋণ দেয়, তার চেয়ে আমানতের সুদের হার কম থাকা বাঞ্ছনীয়। সংকটে থাকা এসব বাণিজ্যিক ব্যাংকের নতুন আমানত সংগ্রহ নেই বললেই চলে; বরং আমানতকারীরা গণহারে এসব ব্যাংক থেকে আমানতের গচ্ছিত অর্থ উত্তোলনে মরিয়া হয়ে পড়েছেন।
অন্যদিকে নতুন ঋণ বিতরণ শূন্যের কোঠায়। পুরোনো ঋণ বা বিনিয়োগ যা–ই বলা হোক না কেন, তার অধিকাংশই মন্দ ঋণের আওতাভুক্ত। এসব ব্যাংকের অনেক ঋণগ্রহীতা পালিয়ে গেছেন, কেউ কেউ দেশান্তরি। ওই সব ঋণগ্রহীতার অনেকেই ব্যাংকের শীর্ষ ঋণখেলাপি এবং তাঁদের থেকে ঋণের অর্থ উদ্ধার বর্তমান বাস্তবতায় প্রায় অসম্ভব।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তারল্য–সহায়তার গ্যারান্টি স্কিম তাই দুর্বল ব্যাংকগুলোর জন্য নতুন চিন্তার উদ্রেক করেছে। তারা কীভাবে এসব ঋণের অর্থ পরিশোধ করবে, তার কোনো সুরাহা বর্তমানে তাদের কাছে নেই।
[ad_2]
Source link