[ad_1]
তখন সময়টা করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়েছিল। ছোটাছুটির কাজ ছিল না। হাতে অনেক সময়। সময়টাকে বসে থেকে নষ্ট না করে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়ে অনেক রকম ভাবনা মাথায়। অন্যদিকে সামাজিক দায়বোধ থেকে দায়িত্ব নেওয়া কিছু সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীর পড়ালেখার খরচ জোগানো নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। এই সংকট থেকে উত্তরণ নিয়েও আছে চিন্তা। উপায় খুঁজতে গিয়ে একটি ভিডিওতে বরই (কুল)বাগান দেখে নিজের ‘বরইবাগান’ করার প্রেরণা তৈরি হয় কৃষি উদ্যোক্তা মো. আবুল ফজলের।
ইচ্ছার সঙ্গে কিছুটা সুযোগও আসে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মনুমুখ ইউনিয়নের বাউরভাগ গ্রামে গড়ে তোলা হয়েছে চারটি ‘বরইবাগান’। এর একটা ব্র্যান্ড নামও দেওয়া আছে ‘তালুকদার অ্যাগ্রো’। বাগানগুলোর গাছে গাছে এখন সবুজ, লাল ও সোনার রঙের মিশ্রণে ঝুলছে গোলগাল থোকা থোকা বরই। বাড়ির কাছে, ধানখেতের পাশে এই বাগানগুলো গ্রামের ভেতর নিয়ে এসেছে আলাদা সৌন্দর্য।
গত বুধবার সকালে কুয়াশা নেমেছিল মৌলভীবাজারে। জলকণার মতো কুয়াশা ঝরছিল। জেলা সদর থেকে ২০-২২ কিলোমিটার দূরের গ্রাম বাউরভাগ। কুয়াশা কেটে সেই গ্রামটিতে যখন পৌঁছানো গেছে, তখনো গ্রাম ঘুমিয়ে। শীতে অনেকটাই জবুথবু। জনমানুষের দেখা নেই। মাত্র আমন ধান কাটা হয়েছে। ঘরে ঘরে ধান তোলা শেষ, চলছে অবসর। মৌলভীবাজার-শেরপুর আঞ্চলিক সড়ক থেকে গ্রামের কিছুটা ভেতরে বরইবাগানে গিয়ে দেখা যায় কুয়াশায় ডুবে আছে গাছগুলো। শান্ত, চুপচাপ পরিবেশ। তবে কিছুটা মুখরতাও আছে। অনেকগুলো ঘুঘু পাখি গ্রামটির ঘুম ভাঙাতেই কিনা অবিরাম ডেকে চলছে। গোল সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে, ডালে ডালে ঝুলছে ছোট–বড় অনেক বরই। কোনোটি সবুজ, কোনোটি লাল, কোনোটিতে সোনালি রং ধরেছে। বাদুড় ও অন্যান্য পাখির উপদ্রব এড়াতে গাছের কয়েক সারি পরপর জাল পাতা আছে।
[ad_2]
Source link