[ad_1]
এমন সময়ে চালের দাম বাড়ল, যখন আমনের ভরা মৌসুম। সাধারণত খরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ে আর ভরা মৌসুমে কমে। এবার হয়েছে তার বিপরীত। গত ১৭ ডিসেম্বর প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গত দুই সপ্তাহে চালের দাম বস্তাপ্রতি ২০০-২৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা চালের দাম বাড়ার জন্য মিলমালিক ও বড় ব্যবসায়ীদের দায়ী করেন। বড় ব্যবসায়ীরা বাজারে যখন দাম কম থাকে, চাল কিনে মজুত করেন, আর যখন বাড়তি থাকে, তখন বিক্রি করেন। বাজারবিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারে চালের অভাব নেই। কিন্তু ব্যবসায়ীরা নানা কারসাজি করে দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। অতীতে দাম বাড়ানোর জন্য যে সিন্ডিকেট সক্রিয় ছিল, তারা পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে, এটাও মনে করার কোনো কারণ নেই। কিন্তু গত পাঁচ মাসেও সরকার বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে, এ রকম প্রমাণ নেই।
যেকোনো পণ্যের দাম স্থিতিশীল করতে সরকারকে দুটি উদ্যোগ নিতে হয়। প্রথমত, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সরবরাহ বাড়ানো। দ্বিতীয়ত আমদানি করে ঘাটতি পূরণ। গত নভেম্বরে সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে চালের আমদানিরও সব শুল্ক তুলে নেয় এবং বেসরকারি খাতের ২২৭টি প্রতিষ্ঠানকে আমদানির অনুমতি দেয়। এখন প্রশ্ন হলো, এই প্রতিষ্ঠানগুলো কি প্রতিশ্রুত চাল আমদানি করেছে? যদি করে থাকে, তাহলে বাজারে তার কোনো প্রভাব পড়ল না কেন?
[ad_2]
Source link