Homeদেশের গণমাধ্যমেরাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ চায় পুলিশ

রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ চায় পুলিশ

[ad_1]

কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে পুলিশের কর্মকর্তারা বাহিনী পরিচালনার ক্ষমতায় ভারসাম্য রক্ষার দাবি জানান। তাঁরা বলেন, পুলিশের ওপর বিভিন্ন সময়ে অনিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হয়েছে। প্রশাসনিক জটিলতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতা পুলিশকে তার নিয়মিত কাজে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ পুলিশিংয়ের দায়দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে পুলিশের। কিন্তু বাহিনীর মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা (নিয়োগ, পদোন্নতি, পদায়ন), লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা, প্রণোদনাসহ বিভিন্ন বিষয় যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ ও নিশ্চিত করতে পুলিশের ক্ষমতা সীমিত। এতে পুরো বাহিনীতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

বৈঠকে পুলিশের পদোন্নতির ক্ষেত্রে আইজিপিকে এসএসবি বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ বিষয়ে কমিশনের সদস্যরাও একমত পোষণ করে পদোন্নতির ক্ষেত্রে কিছু মানদণ্ড নির্ধারণ করার ওপর গুরত্বারোপ করেন।

পুলিশ যাতে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে, প্রভাবমুক্ত হয়ে, সততা, দক্ষতা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে পারে, সে জন্য জাতীয় পুলিশ কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথাও বৈঠকে উঠে আসে।

শ্রীলঙ্কার কমিশন থেকেও অভিজ্ঞতা গ্রহণের পরামর্শ দেন কেউ কেউ। এ বিষয়ে সংস্কার কমিশনের এক সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, ‘দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কার পুলিশ পরিচালনায় ক্ষমতার সুন্দর ভারসাম্য আছে। সেখানে পুলিশ কমিশন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নয়; বরং সংসদীয় কমিটির কাছে দায়বদ্ধ। এ কারণে ওই দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ক্ষেত্রে অনেক কিছু হলেও পুলিশে ভঙ্গুর অবস্থা তৈরি হয়নি। আমরা সেই অভিজ্ঞতা নিতে পারি।’ তিনি বলেন, প্রস্তাবিত পুলিশ কমিশনে নাগরিক সমাজের ৪ জন প্রতিনিধি, সরকারি ও বিরোধী দলের ২ জন করে ৪ জন সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার ১০–১২ জন সদস্য রাখা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

সংস্কার কমিশনের সদস্য ও সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শেখ সাজ্জাদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ চাই। মানুষকে প্রত্যাশিত সেবা দিতে চাইলে এ কাজ করতেই হবে। এটা বাস্তবায়নের সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা লাগবে।’

[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত